আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা বিঘ্নিত না করার কথা উল্লেখ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, দেশটির ভঙ্গুর স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থা চরম ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, আফগানিস্তানের জনসাধারণের জন্য জরুরি স্বাস্থ্য সেবা ও চিকিৎসা সামগ্রীর সরবরাহসহ মানবিক সহায়তার দীর্ঘ মেয়াদি সুবিধা চরম সংকটপূর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এ ধরনের সহায়তা কোনভাবে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না।
সেখানে আরো বলা হয়, আফগানিস্তানে মাসের পর মাস ধরে সহিংসতা চলায় দেশটির ভঙ্গুর স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থার ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। কোভিড-১৯ মহামারী ছড়িয়ে পড়ায় জরুরি সরবরাহের ক্ষেত্রে দেশটিতে ইতোমধ্যে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বেসামরিক নাগরিক, স্বাস্থ্য কর্মী, রোগী ও চিকিৎসা স্থাপনা রক্ষা করতে হবে।
তারা জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত স্বাস্থ্য সেবা সংক্রান্ত ২৬টি স্থাপনায় হামলা চালানো হয় এবং এ সময়ে মধ্যে বিভিন্ন হামলায় ১২ জন স্বাস্থ্য সেবা কর্মী নিহত হন। এ ধরনের স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন ‘বড় চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, তারা আফগানিস্তানে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। আগের যেকোন সময়ের তুলনায় এখন সবচেয়ে বেশি আফগান জনগণের সহায়তা প্রয়োজন।
২০ বছর পর আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার সাথে সাথেই সেখানে অস্থিরতা তৈরি হয়। গত ১৫ আগস্ট পুরোপুরি দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবানরা। সবার আশঙ্কা, ২০০১ সালে তালেবান ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে আফগানিস্তানে যেসব মানবাধিকার অর্জন করা গিয়েছিল এখন তা আবার হারিয়ে যাবে।
১৯৯০ সালে তালেবান নিয়ন্ত্রণাধীন জীবনে নারীদের পুরোপুরি বোরকা পরতে বাধ্য করা হতো, ১০ বছরের বেশি বয়সী মেয়েদের জন্য শিক্ষা নিষিদ্ধ ছিলো এবং প্রকাশ্যে ফাঁসিসহ নৃশংস শাস্তির ব্যবস্থা ছিলো।