২০২২ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের যাত্রাটা আফগানিস্তানের কাছে ১-০ গোলের হার দিয়ে শুরু হল বাংলাদেশের।
ক্রিকেটে ২২৪ রানে হতাশার টেস্ট হারের মাত্র ২৪ ঘণ্টা পেরিয়েছে। এরইমধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো আফগানদের কাছে হারের তেতো স্বাদ পেতে হল বাংলাদেশকে। শুধু খেলাটা বদলাল, এবার ফুটবলে।
তাজিকিস্তানের দুশানবেতে হারের ফল নিয়ে আক্ষেপ থাকতে পারে জেমি ডের দলের। হারলেও র্যাঙ্কিংয়ে ৩৩ ধাপ এগিয়ে থাকা প্রতিপক্ষকে যে বেশ চাপেই রেখেছিলেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা।
গায়ে-গতরে শক্তিশালী ও দীর্ঘদেহী আফগানরা শুরু থেকেই সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো হামলে পড়েছে বাংলাদেশের রক্ষণে। নাবীব নেওয়াজ জীবন, বিপলু আহমেদরা যেন আক্রমণ করতে ভুলে গেলেন তাতে।
আক্রমণের স্রোত থামাতে বারবার নেমে আসতে হল নিচে। প্রতিটা মুহূর্ত ব্যস্ত থাকলেন বাংলাদেশ গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা।
তাতেও রক্ষা হল না। বাতাসে দুর্দান্ত আফগানরা কাজে লাগাল তাদের শক্তিকেই। ২৭ মিনিটে সেটপিস থেকে বাতাসে ভাসানো বলে হেড নেন আফগান অধিনায়ক ফারশাদ নুর। বাংলাদেশ গোলরক্ষক রানা সেটা প্রায় ঠেকিয়েও দিয়েছিলেন। শেষপর্যন্ত অতিথি খেলোয়াড়দের হতাশ করে বল ঠাই নেয় জালে।
পিছিয়ে থাকায় দ্বিতীয়ার্ধে খেলায় আমূল পরিবর্তন আসে বাংলাদেশের। রক্ষণ সামলে এবার আক্রমণের দিকেও নজর দেন জামাল ভুঁইয়ারা। মূলত এই অর্ধে খেলার দখল ছিল লাল-সবুজদের কাছেই।
ভালো কয়েকটি সুযোগও এসেছিল এর মাঝে। সবগুলো সুযোগ নিজেদের পায়েই বিপথে ঠেলেছেন বাংলাদেশের ফুটবলার। একাধিকবার প্রতিপক্ষ রক্ষণে আতঙ্ক ছড়ালেও দুর্দান্ত একটি ফিনিশিংয়ের অভাব ব্যবধান গড়ে দেয় দুই দলের মাঝে।
খেলার একদম শেষ সময়ে বাংলাদেশকে সমতায় ফেরানোর দারুণ এক সুযোগ হাতছাড়া করেন নাবীব নেওয়াজ জীবন। ডি-বক্সের ভেতরে পায়ে বল পেলেও ঠিকমত শট নিতে পারেননি এ ফরোয়ার্ড। তাই আক্ষেপই হল সঙ্গী।