রাজধানীর গুলশানে সুবাস্তু টাওয়ারে অবস্থিত আপন জুয়েলার্সের একটি শোরুম সিলগালা করে দিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ।
শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ রোববার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটে ‘ডার্টি মানি’র অনুসন্ধানের আপন জুয়েলার্সের শোরুমে অভিযান চালায়। অভিযান পরিচালনার সময় গুলশানের শোরুমটি বন্ধ পাওয়ার কারণে তা সিলগালা করে দেয়।
শুল্ক গোয়েন্দা তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান গণমাধ্যমকে জানান, রাজধানীতে আপন জুয়েলার্সের পাঁচটি শোরুমে তারা অভিযান চালায়। এই সময় দোকান বন্ধ থাকায় গুলশানের শোরুম তারা সিলগালা করে দেয়া হয়।
ব্যাংকের হিসাবে তথ্যের গড়মিলের কারণে আপন জুয়েলার্সের দোকানগুলোতে পর্যায়ক্রমে অভিযান চালানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের ধারণা, নানা প্রক্রিয়ায় অবৈধভাবে হীরা ও স্বর্ণের ব্যবসা চালাচ্ছে অাপন জুয়েলার্স।
এবিষয়ে শুল্ক গোয়েন্দা, “বাংলাদেশ ফেসবুক পেজ থেকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে বলা হয়েছে, বনানীতে সাম্প্রতিক ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ ও তার ছেলে সাফাত আহমেদের ‘ডার্টি মানি’র তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশের পর শুল্ক গোয়েন্দার পক্ষ থেকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এরমধ্যে শুল্ক গোয়েন্দা বাংলাদেশ ব্যংককে তাদের আর্থিক লেনদেনের যাবতীয় তথ্যাদি তলব করেছে। আজকের অভিযানে স্বর্ণ ও ডায়মন্ডের বৈধ উৎস ও পরিশোধেযোগ্য শুল্ক-কারাদি সম্পর্কে খোঁজ নেয়া হবে।”
“গত পাঁচ বছরে দেশে কোন বৈধ বাণিজ্যিক আমদানি না থাকায় প্রাথমিকভাবে শুল্ক গোয়েন্দার কাছে তাদের স্বর্ণ ও ডায়মন্ডের ব্যবসায় ‘অস্বচ্ছতা’ প্রতীয়মান হয়েছে।”
গত ২৮ মার্চ বনানীতে দ্য রেইনট্রি হোটেলে বন্ধুর মাধ্যমে এক জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী। এরপর ধর্ষকরা ওই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে রাখে ধর্ষকরা।
যাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে; তাদের একজন সাফাত আহমেদ আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিম।
প্রাণনাশসহ বিভিন্ন হুমকি উপেক্ষা করে ঘটনার একমাসের বেশি দিন পর ওই দুই তরুণী ৪ মে বনানী থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করতে যান।
তবে থানা পুলিশ মামলা না নিয়ে তাদেরকে হয়রানী করে বলে অভিযোগ ওঠার ৪৮ ঘণ্টা পর ৬ মে ওই অভিযোগ লিপিবদ্ধ করে।