চোরাচালানের মাধ্যমে আনা প্রায় ১৫ মণ সোনা ও ডায়মন্ড আটক এবং তা কর নথিতে উল্লেখ না করে গোপন রাখার অপরাধে আপন জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছে শুল্ক গোয়েন্দা। শনিবার রাজধানী চারটি থানায় মোট পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয় তাদের বিরুদ্ধে।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান বলেন, শনিবার গুলশান থানায় দুটি এবং ধানমন্ডি, রমনা ও উত্তরা থানায় একটি করে পাঁচটি ফৌজদারি মামলা করা হয়। শুল্ক গোয়েন্দার পাঁচজন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা বাদী হয়ে মামলাগুলো করেন।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনার আলোকে মামলাগুলো করা হয়েছে। মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ আইন, ২০১২ (সংশোধনী ২০১৫) এর ধারা ২ (ঠ) এবং কাস্টমস অ্যাক্ট, ১৯৬৯ এর ধারা ১৫৬(৫) অনুযায়ী শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর মামলাগুলোর তদন্ত করবে।
এর আগে আপন জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে শুল্ক-কর ফাঁকি দিয়ে চোরাচালানের মাধ্যমে স্বর্ণালংকার মজুত করার অভিযোগে দ্য ঢাকা কাস্টম হাউসে পাঁচটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
বনানীর একটি হোটেলে ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও প্রাথমিক অনুসন্ধানের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আপন জুয়েলার্সের ৫ টি শোরুম থেকে প্রায় ১৫ মণ স্বর্ণের ও ডায়মন্ডের অলঙ্কার উদ্ধার করে শুল্ক গোয়েন্দা। উদ্ধার হওয়া স্বর্ণ ও ডায়মন্ড পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়।