চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

আপনি দুশ্চিন্তায় আক্রান্ত?

আমরা কম বেশি প্রত্যেকেই দুশ্চিন্তায় থাকি। সঠিক সময়ে চাকরি না পাওয়া, বিয়ে না হওয়া অথবা বিবাহিত জীবনে বাচ্চা নিতে দেরি হওয়া, এমন নানা হতাশার মুখোমুখি হতে হয়। তখন মনের মাঝে এক ধরনের ভয় হতে শুরু করে, কিছু-ই যেন ঠিকভাবে হচ্ছে না। এ কারণে মেজাজ থাকে খিটখিটে, অস্থিরতা ভর করে মনে, অশান্তি হয় সবসময়। শুনতে নতুন হলেও অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন এমন বিশেষ হরমোনজনিত সমস্যায়। হরমোনজনিত এই সমস্যাকে বলে পিসিওএস। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে মেয়েদের ক্ষেত্রেই এই সমস্যায় আক্রান্তর সংখ্যা বেশি।

পিসিওএস (PCOS)–এর পুরো নাম ‘পলিসিসটিক ওভারিয়ান সিনড্রোম’। অনেক ক্ষেত্রে মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে এই সমস্যা। এর মধ্যে অন্যতম হল সন্তানধারণ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। এছাড়া অনিয়মত পিরিয়ডের অন্যতম কারণ এই পিসিওএস হরমোন।

এক গবেষণায় দেখা যায় কিছু নিয়ম মেনে চললে এই ধরনের মেন্টাল ডিসঅর্ডার থেকে নিজেকে সামলিয়ে নেওয়া যায়।

  • পরিমিত খাবার খাওয়া : অনেক সময় পরিমিত খাবার বা অনিয়ন্ত্রিত খাবারের ব্যাপারে আমরা অনেক অসেচেতন হয়ে থাকি। কেউ হয়ত একটু বেশি খাচ্ছি আবার কেউ দেখা যায় খাচ্ছে-ই না। এমন অনিয়ম করলে পিসিওএস রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে। লাল মাংস এবং প্রক্রিয়াজাত খাদ্য কম পরিমাণে এবং শাক-সবজি, ফল, মাছ এবং শস্যদানা বেশি পরিমাণে খাওয়ার অভ্যাস শুধু ওজনই নিয়ন্ত্রেণে রাখবে না পাশাপাশি হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
  • ঝেড়ে ফেলুন বাড়তি চিন্তা : অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বা উদ্বেগ মন ও শরীরে প্রভাব পরে। তাই নেতিবাচক চিন্তা একদম মাথায় আসতে দেবেন না। এমন চিন্তা আসলে মন অন্য দিকে ঘুরিয়ে ফেলুন। বা যেখানে বসে আছেন, অবস্থান পরিবর্তন করুন। গুনগুন করে গান গাওয়া বা শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়ামের সাহায্য নিতে পারেন।
  • পর্যাপ্ত ঘুম : অনেকেরই ঘুম না হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। সুস্থ থাকতে হলে একজন মানুষের ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুম আবশ্যক। এক্ষেত্রে সময়ের চেয়ে কতটা নিশ্চিন্তে ঘুমানো গেল, তা গুরুত্বপূর্ণ। ‘Sleep apnea’ এমন একটি অবস্থা, যার ফলে ব্যক্তি নিঃশ্বাসে অসুবিধা হওয়ার কারণে দ্রুত ঘুম থেকে জেগে ওঠে। ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
  •  নিয়মিত ব্যায়াম করুন : প্রতিদিন অন্তত ৪০ মিনিট দ্রুত হাঁটুন অথবা ব্যায়াম করুন। দেখবেন আপনার শরীর ও মন কিছুদিন পর হালকা লাগবে। সাঁতার কাটা কিংবা নাচের অভ্যাস করুন। এসব কর্মকাণ্ড শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ রাখবে এবং ডায়বেটিস কিংবা হৃদরোগ থেকে দূরে রাখবে। কায়িক পরিশ্রমের মাধ্যমে মানসিক অবসাদ থেকেও মুক্তি পাওয়া যাবে।
  • অতিরিক্ত আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন : অনেক সময় আমরা খুব তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে খুব আবেগী হয়ে পরি। তাই আবেগী মনোভাব দূর করতে হবে। কারণ আবেগী হয়ে সময় নষ্ট করার চেয়ে নিজেকে বিভিন্ন কাছে ব্যস্ত রাখুন।

আপনার ইতিবাচক দিকগুলো খুঁজে বের করুন। এর ফলে আপনি মানসিক শান্তি পাবেন। নিজেকে ভালোবাসতে শিখুন। কাজের ব্যস্ততার মাঝে ছুটি পেলে ঘুরে আসুন সবুজের মাঝে। অথবা বন্ধুদের সঙ্গে ভালো সময় কাটান। তাহলে মানসিক ডিসঅর্ডার বা পিসিওএস রোগে থেকে মুক্তি পাবেন। ফেমিনা।