দেশ জুড়েই চলছে বর্ষবরণের প্রস্তুতি। শিশুর চোখে আর মুখেও সে আনন্দের ঝলক। ক্ষুদে এক শিশুর হাতে রঙতুলি দেখে সন্ধ্যার আলো ছায়ার নিচে এক ঝলক মিষ্টি হাসি ফুটে উঠল । নাম শেওলা ব্রততী আত্মজা। উদয়ন স্কুলে শিশু শ্রেণীর ছাত্রী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনের দেয়ালে সেও রঙতুলিতে তার অনুভূতি এঁকে যাচ্ছে। ছোট ছোট হাতে একের পর এক তুলির আঁচর ছড়াচ্ছে। যেন বাঙলির চেতনায় আশার আলোর শুরুটা যেন এখান থেকেই। কোনো গোষ্ঠীর চক্রান্তই যা থামাতে পারেনি কখনো । এক জায়গায় সূর্য উঁকি দিতে দেরি করলে অন্য জায়গায় অসংখ্য সূর্য ঠিকই দেখা দেবে যেন।
তার এই আঁকার আগ্রহের পেছনে যে মানুষটি, তিনি বাবা ড. মলয় বালা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অরিয়েন্টাল আর্ট বিভাগের চেয়ারপার্সন। শিশু আত্মজার আঁকার হাতেখড়ি বাবার কাছেই।
আদর আদর কন্ঠে আত্মজা বলেছে তার নববর্ষের প্রস্তুতির কথা। পাঁচ বছরের আত্মজা নববর্ষের দিন পড়বে শাড়ি। আর বাবা–মার সঙ্গে আসবে চারুকলায়।