‘আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার পক্ষে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যে দলের হাল ধরেছিলেন, সে দল নিয়ে তিনি সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন আমি সেই দলের পক্ষে। আজীবন এই দলের পক্ষে থাকবো, নৌকার পক্ষেই থাকবো। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পিতার স্বপ্নকে বাস্তবায়নের জন্য এগিয়ে যাচ্ছেন। এই দল কোনো সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করেনি, বোমা মারেনি, গ্রেনেড মারেনি, পেট্রোল দিয়ে মানুষ জ্বালায়নি। কাজেই এই দলের পক্ষেই যতদিন বাঁচবো কাজ করে যাবো।’
চিত্রনায়ক ফারুকের পক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে আজ (মঙ্গলবার) এ কথাগুলো বলেন চিত্রনায়ক রিয়াজ।
বনানীর কামাল আতাতুর্ক সড়কে প্রচারণার সময় দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে চিত্রনায়ক রিয়াজ আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে জয়ী করতে নৌকার ভোট দিন। দেশের ১৮ কোটি মানুষ যেন মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তিকে প্রত্যাখ্যান করেন। ঢাকা-১৭ আসনে নৌকার প্রার্থী ফারুক ভাইকে ভোট দিন। ফারুক ভাইয়ের জয় মানেই শেখ হাসিনার নৌকার জয়।’
এদিকে, চিত্রনায়ক ফারুকের পক্ষে বনানীর রাজপথে নেমেছিলেন চলচ্চিত্রের আরও অনেক শিল্পী। চিত্রনায়ক রিয়াজ ছাড়াও ছিলেন ফেরদৌস, মাহফুজ আহমেদ, জায়েদ খান, ইমন, সাইমন সাদিক, জয় চৌধুরী, ড্যানি সিডাক, এস ডি রুবেলসহ অনেকে। নায়িকাদের মধ্যে ছিলেন অঞ্জনা, শাবনাজ, নিপূণ, মাহিয়া মাহি, সুইটি, রত্নাসহ নতুন পুরনো আরো অনেকেই।
এসময় বক্তব্য দিতে গিয়ে ফেরদৌস বলেন, ফারুক ভাইয়ের জীবনে চাওয়া পাওয়ার আর কিছু নেই। শেষ জীবনে তিনি শুধু জয়ী হয়ে মানুষের সেবার সুযোগ চেয়েছেন।
ফেরদৌস তার বক্তব্যে আরো বলেন, ফারুক ভাইয়ের চাওয়া থেকে আমরা শিল্পীরা তার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছি। তার যে ইমেজ, আমার মনে হয় ভোট চাওয়ার দরকার নেই। তার পক্ষ হয়ে আমরা জনগণের কাছে নৌকায় ভোট চাচ্ছি। ঢাকা-১৭ আসন আমার জন্মস্থান। সেজন্য আমি বেশি করে তার জন্য ভোট চাচ্ছি।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার সফর সঙ্গী হয়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৩তম অধিবেশনে যোগ দিতে আমেরিকায় গিয়েছিলেন রিয়াজ ও নায়ক ফেরদৌস। এছাড়াও গত ১২ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানেও সঙ্গী হিসেবে টুঙ্গিপাড়ায় গিয়েছিলেন চিত্রনায়ক রিয়াজ ও ফেরদৌস।
আওয়ামী লীগের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে রিয়াজ বলেছিলেন, আমার অভিনয় ভালো লাগলে তার বিনিময়ে নৌকায় ভোট দেবেন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে যদি অভিনয়ের মাধ্যমে বিন্দুমাত্র আনন্দ দিয়ে থাকি, তবে ভোট দিয়ে আবার আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় আনবেন। আমার এই একটা চাওয়া আপনারা রাখবেন। টুঙ্গিপাড়ায় জাতীর পিতার নাড়ি পোতা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাড়ি পোতা। সেখানে আসতে পেরে, কথা বলতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। অত্যন্ত সম্মানিতবোধ করছি।
ফেরদৌস বলেছিলেন, আসন্ন নির্বাচন আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার নির্বাচন। সেখানে আমাদের জয়ী হতেই হবে। আমার ২০ বছরের চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে যদি বিন্দুমাত্র ভালোবেসে থাকেন তবে নৌকায় ভোট দেবেন। তরুণ প্রজন্মের যারা প্রথম ভোট দেবে তারা অবশ্যই যেন নৌকায় ভোট দেয়। আগামীতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের দেশকে আরও এগিয়ে নিতে চাই।