অফুরন্ত পর্যটন সম্ভবনার আঁধার বাগেরহাট। এখানে যেমন রয়েছে সম্পদের প্রাচুর্যতা ঠিক তেমনই রয়েছে নৃতাত্বিক ঐতিহ্যের এক দীর্ঘ ইতিহাস। এছাড়া, ৫ হাজার বছরের অধিক প্রাচীন ঐতিহ্যের নিদর্শন ষাট গম্বুজ মসজিদ।
যা ইতিমধ্যে ইউনেস্কোর বিশ্ব সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক ঐতিহ্যের তালিকা ভুক্ত হয়েছে। সম্প্রতি এর উন্নয়নে ১৫ কোটি টাকার উন্নয়ন তহবিল দিয়েছে এডিবি। আশা করা হচ্ছে উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হলে মসজিদ কমপ্লেক্সের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে বহুগুনে।
কথিত আছে ভারতের জয়িনপুর থেকে ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে খাজা খান জাহান আলী রহমত উল্লাহ এ অঞ্চলে আসেন। তার প্রকৃত নাম উলুক খান। আজমীর শরীফের গিয়াস উদ্দীন চেরাগ তাকে খাজা খান জাহান উপাধীতে ভূষিত করেন।১৪৫৯ খ্রিষ্টাব্দে তিনি মৃত্যু বরণ করেন।
ষাটগম্বুজ মসজিদকে খান জাহান আলী (রাঃ) তার দরবার শরীফ হিসাবে ব্যবহার করতেন।৬০ টি পিলার,৭৭টি গম্বুজ ও ৪টি চৌচালা গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদের পশ্চিম পাশে রয়েছে ঘোড়া দিঘী। পর্যটকদের সুবিধার্থে রয়েছে জাদুঘর। যেখান থেকে প্রথম বারের মত মসজিদ ঘুরতে আসা যে কেউ খান জাহান আলীর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবে।দিঘীর পাশ জুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে পিকনিক স্পট।
এডিবির অর্থায়নে মসজিদ কমপ্লেক্সের আধুনিকায়নের পর দেশি ও বিদেশি পর্যটক বৃদ্ধি পাবে বলে বিশ্বাস সংশ্লিষ্টদের।
মসজিদ ঘুরতে আসা একজন দর্শনার্থী জানান, আমি এর আগেও বেশ কয়েক বার ষাট গম্বুজ মসজিদ ঘুরতে এসেছি। তবে এবারই উন্নয়ন কাজ চোখে পড়লো। সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেলে আগের তুলনায় এখানে ভ্রমণ পিপাসু মানুষের আনাগোনা বাড়বে বলে বিশ্বাস তার।
স্থানীয় একজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখানে অনেকে ঘুরতে বা বেড়াতে আসে কিন্তু ভালো থাকার জায়গার অভাবে তাদেরকে ভ্রমণ ক্লান্তি নিয়ে আবারও ফিরে যেতে হয়। রেস্ট-হাউজ গুলোর কাজ শেষ হলে আগের তুলনায় পর্যটকদের সুবিধা হবে বলে বিশ্বাস তার।
প্রত্নতত্ব অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চলের কাষ্টোডিয়ান গোলাম ফেরদৌস জানান, ২০১৫ সালের মধ্যে উন্নয়ন কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। কাজ শেষ হলে এ জায়গাটি পর্যটকদের আরও বেশি আকর্ষন করবে। ধীরে ধীরে বাড়বে পর্যটকের সংখ্যা।