তার বিরুদ্ধে ওঠা স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন শচীন টেন্ডুলকার। মাস্টার ব্লাস্টারের স্পষ্ট বক্তব্য, তিনি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ফ্র্যাঞ্চাইজি থেকে কোনো ‘কমপেনসেশন’ বা অর্থ পান না এবং দলের সিদ্ধান্ত নেয়ার মতো কোনো জায়গাতেও তিনি নেই।
ন্যায়পাল কাম এথিক্স অফিসার সাবেক বিচারপতি ডিকে জৈনের চিঠির উত্তরে শচীন ১৪টি পয়েন্টের লিখিত উত্তর দেন। মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সঞ্জীব গুপ্ত শচীনের বিরুদ্ধে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ দায়ের করেন।
গুপ্তর মতে, শচীন এবং লক্ষ্মণ দুটি জায়গায় যুক্ত এবং ইঙ্গিত ছিল তারা অর্থও নিচ্ছেন দুই জায়গা থেকে। প্রথমত তাদের আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজির ‘সাপোর্ট স্টাফ হিসেব’ ও দ্বিতীয়ত ক্রিকেট অ্যাডভাইজরি কমিটির (সিএসি) সদস্য হিসেবে।
উত্তরে শচীনের আইনজীবী কমিটিকে লিখেছেন, ‘মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের খেলোয়াড় হিসেবে অবসর নেয়ার পর বর্তমানে ‘আইকন’ হিসেবে ওই ফ্র্যাঞ্চাইজি থেকে কোনো অর্থ পান না টেন্ডুলকার এবং ওই ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে তিনি কোনোভাবে চাকরিসূত্রে আবদ্ধও নন।’
এরপরে লেখা হয়েছে, ‘মুম্বাই দলের কোনো সিদ্ধান্ত শচীন নেন না। এমনকী কোন ম্যাচে কোন খেলোয়াড় খেলবেন, তা নিয়েও মতামত দেন না। তাই খেলা পরিচালনা সংক্রান্ত কোনো কাজে তিনি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের সঙ্গে যুক্ত নন। এখানে কোনো স্বার্থের সংঘাত নেই। বোর্ডের নিয়ম কিংবা অন্য নিয়ম মেনেই শচীন যা করার করছেন।’
পরে আরও বলা হয়েছে, ‘সিএসিতে যোগ দেয়ার অনেক আগেই শচীন ইন্ডিয়ান্সের ‘আইকন’ হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। তাই, তাকে নিয়োগ করার আগেই বোর্ড জানত, তিনি আইপিএলে মুম্বাই ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে যুক্ত। তবে, ফ্র্যাঞ্চাইজির ম্যানেজমেন্ট বা পরিচালনা সংক্রান্ত কোনো কাজের সঙ্গে শচীন যুক্ত নন। তাই যে অভিযোগ শচীনের বিরুদ্ধে উঠছে, তা ভিত্তিহীন।’
সম্প্রতি খবর বের হয়, স্বার্থের সংঘাতের প্রশ্নে জড়িয়ে গেছে ভারতের ১৫জন ক্রিকেটারের নাম। সাবেক ও বর্তমান মিলিয়ে ১৫জন ক্রিকেটারের তালিকা তৈরি করেছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত ন্যায়পালের কমিটি।
স্বার্থের সংঘাতের প্রশ্নে একে একে জড়িয়ে যায় সৌরভ গাঙ্গুলি, শচীন টেন্ডুলকার, ভিভিএস লক্ষ্মণ সহ আরও অনেক নাম। কেউ সাবেক ক্রিকেটার, কেউ বর্তমান ক্রিকেটার, কেউ আবার সাম্মানিক পদে আছেন, কেউবা আইপিএলের কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজিতে চাকরি করেন।