দুর্নীতি কেলেংকারি ও মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের সাবেক চেয়ারম্যান লোলিত মোদির বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। বুধবার মুম্বাইয়ের একটি আদালত তার বিরুদ্ধে এই আদেশ জারি করে।
লোলিত মোদি বর্তমানে লন্ডনে আছেন। তবে নানা বিতর্কে জর্জরিত মোদি ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি’র একজন ঘনিষ্ঠ নেতা হিসেবে সেদেশের জাতীয় রাজনীতিতে ঝড় তুলেছেন।
ভারতের জমজমাট টি-২০ ক্রিকেট লিগ আইপিএলে’র ধারণা ৪৯ বছরের এই নেতার মাথা থেকেই এসেছিলো। আইপিএল এখন বিশ্বের অন্যতম সেরা ঘরোয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট।
তার বিরুদ্ধে কর ফাঁকি, মানি লন্ডারিং ও আইপিলের দলে বেনামি মালিকানার অভিযোগ উঠার পর ২০১০ সালে দেশ ছাড়েন। এরপর জীবনের ঝুঁকির কথা বলে ভারতে ফিরতে অস্বীকার করেন মোদি।
নাম প্রকাশ না করে মোদির মামলা পরিচালনার সঙ্গে জড়িত একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, ‘আমরা এই আদেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে পাঠাবো। তারা এটি যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় অথবা ইন্টারপোলকে দেবে।’
গত বছর মোদির আইনজীবী বলেছিলেন, পাসপোর্ট বাজেয়াপ্তের কারণে দেশে ফিরতে পারছেন না তিনি।ফলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মামলার আইনি প্রক্রিয়ায় অংশ নেবেন মোদি।
তবে কয়েক সপ্তাহ আগে খবর বের হয়, মোদির পাসপোর্ট পুনবহাল হয়েছে এবং এক্ষেত্রে সাহায্য করেছেন ভারতের পররষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। এরপরই ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয় ঝড়। বিরোধী পক্ষ থেকে দাবি ওঠে সুষমার পদত্যাগের।
২০০৯ সালে মিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হয় যে, আইপিএলের প্রচারস্বত্ত্ব পাইয়ে দেওয়ার জন্য কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ১শ কোটি রুপি ঘুষ নিয়েছেন মোদি। আর এই ঘুষ দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডেরই আরেক সদস্য নারায়ণ শ্রীনিবাস। পরে দুর্নীতির নানা অভিযোগে বিসিসিআই’র চেয়ারম্যান পদ হারান শ্রীনি। তবে এখনো আইসিসি’র সভাপতি পদে আছেন বিতর্কিত এই ক্রিকেট প্রশাসক।