আশঙ্কা ছিলই। এবার সেটা সত্যি হল। বল টেম্পারিংকাণ্ডে আরো বিপাকে দুই অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার স্টিভেন স্মিথ এবং ডেভিড ওয়ার্নার। আসন্ন আইপিএল এগারোতে অংশ নিতে পারবেন না তারা। বুধবার দু’জনকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। একই দিনে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই জানিয়ে দিয়েছে, কোটি টাকার টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারবেন না এই দুই অজি তারকা।
আইপিএলের চেয়ারম্যান রাজীব শুক্লা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘স্টিভেন স্মিথ এবং ডেভিড ওয়ার্নার চলতি বছরের আইপিএলে অংশ নিতে পারবেন না। রাজস্থান রয়্যালস এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দু’টি দলই তাদের পরিবর্তে নতুন খেলোয়াড় নিতে পারবে। আমরা আইসিসি এবং ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সিদ্ধান্তের দিকেই তাকিয়ে ছিলাম। ঠিক করেছিলাম এই দুই সংস্থার পরেই আমরা দুই অজি ক্রিকেটারকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’
এর আগে বল টেম্পারিংকাণ্ডের জেরে প্রথমে রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ান স্মিথ। তার জায়গায় অধিনায়ক হিসেবে আজিঙ্কা রাহানের নাম ঘোষণা করা হয়। পরে একই পথে হাঁটেন ডেভিড ওয়ার্নারও। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের অধিনায়কের পদ থেকে সরে যান তিনিও। সানরাইজার্সের নতুন অধিনায়কের নাম খুব শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে।
সানরাইজার্সের পক্ষ থেকে টুইট করে জানানো হয়, ‘সাম্প্রতিক ঘটনার জেরে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছেন ওয়ার্নার। দলের নতুন অধিনায়কের নাম শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে।’
বল টেম্পারিংকাণ্ডের জেরে ইতিমধ্যেই স্মিথ, ওয়ার্নার এবং বেনক্রফটকে অস্ট্রেলিয়ায় ফেরত পাঠানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, আইসিসি যেমন তাদের শাস্তি দিয়েছে, তেমনই শাস্তি দিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াও। স্মিথ ও ওয়ার্নারকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে সিএ। ৯ মাসের নির্বাসন দেয়া হয়েছে ক্যামেরুন বেনক্রফটকে।
বল টেম্পারিং বিতর্কের তদন্ত দ্রুত শেষ করতে চেয়েছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। সিএ পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে আগামী ২ বছর অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক কিংবা সহ–অধিনায়ক হতে পারবেন না স্টিভেন এবং ওয়ার্নার। অর্থাৎ, আগামী বছরের বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়া দলে ফেরত আসার কোন সম্ভাবনা নেই তাদের। অবশ্য এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন সংশ্লিষ্ট তিন ক্রিকেটার।