অস্ট্রেলিয়ার প্রধান বিমানবন্দরগুলোর প্রায় দেড় লাখ কর্মীকে বিশেষ নিরাপত্তা তল্লাশি ও নজরদারির আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার।
গত জুলাইয়ে সিডনি বিমানবন্দর ছেড়ে যাওয়া একটি উড়োজাহাজে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ করে দেয়ার ধারাবাহিকতায় নতুন ঘোষিত বিশেষ নিরাপত্তা অভিযানের অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হলো।
অস্ট্রেলিয়ায় বিমানবন্দরে ব্যাগেজ ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত কর্মীদের পাশাপাশি যারা সংরক্ষিত এলাকাগুলোতে দায়িত্বে থাকেন, সেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে এখন থেকে যখন-তখন বিস্ফোরকের সন্ধানে তল্লাশি ও পরীক্ষা করা হবে। একই সঙ্গে সেসব কর্মীর গাড়িসহ অন্যান্য জিনিসপত্রও তদন্তাধীন থাকবে।
অস্ট্রেলিয়ার বিমানবন্দরগুলোর সুরক্ষিত এলাকাসমূহে অনেক কর্মচারীই চুক্তিভিত্তিক দায়িত্বে আছেন। তাই তাদেরসহ সেসব এলাকার কর্মীদের বিশেষ স্ক্রিনিংয়ের অাওতায় রাখা প্রয়োজন বলে জুলাইয়ের ঘটনার পর থেকেই বলছেন ইউনিয়ন ও গোয়েন্দা বিশেষজ্ঞরা।
দেশটির পরিবহনমন্ত্রী ড্যারেন চেস্টার বলেন, ‘নতুন পদক্ষেপগুলো বর্তমানে প্রচলিত নিরাপত্তা বিষয়ক নিয়ম-কানুনকে আরও শক্তিশালী করবে। এর মাধ্যমে নিশ্চিত করা যাবে যে, দায়িত্বরত বিমানবন্দর কর্মীরা বৈধভাবে নিযুক্ত, তাদের পরিচয় নিশ্চিত এবং সুরক্ষিত এলাকাগুলোতে ঢোকার জন্য উপযুক্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।’
প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার বিমানবন্দরগুলোর সংরক্ষিত এলাকাসমূহে প্রবেশাধিকার রয়েছে বলে জানিয়েছে সরকার।