ফিলিপিন্সে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জন গোমেজ বলেছেন, রিজার্ভের খোয়া যাওয়া অর্থ উদ্ধারে আশাবাদী তিনি। টেলিফোন সাক্ষাৎকারে তিনি দেশটির সিনেটরদের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেছেন, তারা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন যাতে অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা যায়।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে অর্থমন্ত্রীর বাসায় বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর ফজলে কবির বলেছেন, ব্যাংকিং খাতের স্বাস্থ্য নিয়ে মোটেও উদ্বিগ্ন নন তিনি।
অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জন গোমেজ ফিলিপিন্সে প্রবাসী বাঙ্গালীদের মাঝে দারুণ জনপ্রিয়। সদা তৎপর এই রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সক্রিয় রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে খোয়া যাওয়া অর্থ উদ্ধার প্রক্রিয়ায়ও। নিয়মিত ফিলিপিন্স সিনেটের শুনানীতে অংশ নিচ্ছেন। সরকারকে অবহিত করছেন প্রতিদিনের আপডেট।
তিনি বলেন,’ খোয়া যাওয়া টাকাগুলো আমাদের,তাই বসে থাকলে হবে না। অবশ্যই আমরা আমাদের টাকা ফেরত পাবো বলে আশা করছি’।
ফিলিপিন্সে কি ঘটছে তা জানার এবং বোঝার চেষ্টা করছেন নতুন গভর্নর ফজলে কবির। বৃহস্পতিবার রাতে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে অবশ্য তিনি চুরি যাওয়া ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার উদ্ধার হওয়া নিয়ে দেশটির সিনেট কমিটির নৈরাশামূলক বক্তব্যের ব্যাপারে মন্তব্য করতে রাজী হননি।
নতুন গভর্নর বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যে সুনাম ছিলো সেই সুনাম পুনরুদ্ধার করতে হবে। এখনো যথেষ্ট সুনাম অক্ষুন্ন আছে। রিজার্ভের টাকা লোপাটের ঘটনায় ব্যাংকিং সেক্টরে কোনো প্রভাব পড়েনি’।
ফিলিপিন্সের কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নর, আমান্দো এম তেতাংকো পদাধিকারবলে দেশটির এন্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিল এএমএলসি’র চেয়ারম্যান। তিনি বলেছেন, তাদের ব্যাংক সিক্রেসী আইন অর্থ পাচার ঠেকানোর পথে একটা বড় বাধা। ফিলিপিনো পত্রিকা ইনকোয়ারার বলছে, আইনটি সংস্কারের ইঙ্গিতও করেছেন আমান্দো।