দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে আওয়ামী লীগ কারও সঙ্গে আলোচনায় বসেনি মন্তব্য করে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামীতেও এ নিয়ে আলোচনায় বসবে না আওয়ামী লীগ।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে মহান মে দিবস উপলক্ষে শ্রমিক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সোমবার রাতে মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাদের বৈঠক প্রসঙ্গে কাদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলিনি আমরা। কারো বা কোনো দলের বিরুদ্ধে নালিশও করিনি। আসন্ন নির্বাচনে কোনো প্রকার সমর্থন বা এ সংক্রান্ত কোনো অনুরোধ এই দুই দেশের কাছে আওয়ামী লীগ করেনি।
‘ভারতে গিয়ে নির্বাচন নয়, কথা বলেছি জাতীয় স্বার্থ নিয়ে। বলেছি তিস্তা চুক্তি, রোহিঙ্গা এবং জঙ্গিবাদ সমাধানের কথা। একইভাবে আমেরিকান রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের দাওয়াতে গিয়েও কারও বিরুদ্ধে কোনো নালিশ করিনি।’
তিনি আরও বলেন, ভারতের বিজেপির সেক্রেটারি জেনারেল একটা সরকারি প্রোগ্রামে বাংলাদেশে এসেছিলেন। আমার সাথে দেখা হয়নি। কিন্তু আমাদের অনেকে তার সঙ্গে ব্রেকফাস্ট করেছিলেন। সেখানে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে আমাকে একটা ডেলিগেশন নিয়ে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। পার্টি টু পার্টি রিলেশন উন্নয়নে।
‘ওই সময় যাওয়া হয়নি বলে এবার গিয়েছিলাম। এখানে অন্য কোন উদ্দেশ্য ছিল না। সফরের সময় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা হয়েছে। কিন্তু আমরা একবারও আমাদের আভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয় ও দল নিয়ে কথা বলিনি।’
শ্রমিকদের অসহায় অবস্থা দূর করতে সরকার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে জানিয়ে কাদের বলেন, আদমজির মতো বড় করে না হলেও হলেও আদমজি এলাকার শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেত্রী কথা দিয়েছেন। তিনি কথা দিলে তা রাখেন। এজন্য তাকে আবারো ক্ষমতায় আনতে হবে।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এখন ক্ষমতায় আছি বলে আরো ৫০ বছর থাকবো, এ ধরনের অহংকার করা ঠিক না। তাই আমাদের খুব সংযতভাবে বলতে হবে। দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। মাইক পেলেই আবেগে যা খুশি তা বলা যাবে না।