সবকিছু মিলেমিশে একাকার। রোববার ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচের দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। ইংল্যান্ড জিতলে এশিয়ার দুই দেশের স্বপ্ন অনেকটাই ধাক্কা খাবে। কিন্তু সেসব ছাড়াও বাংলাদেশের কাছে ম্যাচে অন্য মোটিভেশন থাকছে। সে মোটিভেশনের নাম ভারত। সাম্প্রতিককালে ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচ মানেই বাংলাদেশের ক্রিকেট মহলে অন্যরকম উন্মাদনা আর উত্তেজনা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভারত জিতুক না জিতুক, মঙ্গলবার ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচের উত্তেজনার চড়া সুর এতটুকু কমবে না বলেই মনে করছে বাংলাদেশ সমর্থকরা।
বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মানসিকতার আসল প্রতিফলন ধরা পড়েছে অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেনের কথায়, ‘বিশ্বকাপে এমন একটা জায়গায় আছে যে, আমরা মনে করি না ভারত বা অন্য কোনো দলকে নিয়ে ভাবার সময় আছে! অবশ্যই ভারত শক্তশালী দল। কঠিন প্রতিপক্ষ। কিন্তু আমরা যেভাবে খেলছি সেটা করতে পারলে আশা করি ভালো কিছু হবে।’
সাম্প্রতিককালে দুই দলের ২২ গজে যে উত্তেজনা, তার পেছনে কারণ আছে। এশিয়া কাপের ফাইনালে শেষ বলে হারতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। ২০১৬ সালে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপেও হার শেষ বলে। তার উপর ২০১৫ বিশ্বকাপে মেলবোর্নের ‘নো বল’ কাণ্ডের রেশ তো রয়েছেই।
ভারত ম্যাচে আবার অভিনব এক রেকর্ডের সামনে বাংলাদেশের ত্রিমূর্তি সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম। টানা চার বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ম্যাচ খেলেছে ২৭টি। সব কয়টি ম্যাচেই একসঙ্গে খেলেছেন এই তিনজন।
বিশ্বকাপে টানা সর্বোচ্চ ২৭ ম্যাচ খেলার নজির আছে আর দুটি। ১৯৯৬ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার সনাথ জয়সুরিয়া, মুত্তিয়া মুরালিধরন ও চামিন্ডা ভাস খেলেছিলেন টানা ২৭টি ম্যাচ। ২০০৭ থেকে ২০১৫ বিশ্বকাপ পর্যন্ত টানা ২৭ ম্যাচ খেলেছিলেন মাহেলা জয়বর্ধনে, কুমার সাঙ্গাকারা ও তিলকারত্নে দিলশান। ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচে নেমে সেই রেকর্ড ভাঙার লড়াই সাকিব-তামিম-মুশফিকুরের।