প্রথমবারের মত এএফসি ফুটসাল চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। সোমবার বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ বিমানের এক ফ্লাইটে ২০ সদস্যের দল নিয়ে ঢাকা ছাড়বে লাল-সবুজের দল। ফুটসালে নতুন হলেও ২ মে ব্যাংককে শুরু হতে যাওয়া ১৫ জাতির টুর্নামেন্টের চ্যালেঞ্জ জিততে চান অধিনায়ক সাবিনা খাতুন।
গ্রুপ ‘বি’তে বাংলাদেশ প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম ও চাইনিজ তাইপেকে। উদ্বোধনী ম্যাচে ব্যাংকক অ্যারেনায় মালয়েশিয়ার মুখোমুখি হবে গোলাম রব্বানী ছোটনের দল।
৪০ মিনিটের ফাইভ এ সাইড ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে একমাত্র অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের। মালদ্বীপে খেলেছেন। দলের বাকিরা এই প্রথমবারের মত খেলবে ফুটসাল। পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকেই অধিনায়ক জানাচ্ছেন, চ্যালেঞ্জিং একটি টুর্নামেন্ট অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের জন্য।
‘আমরা এই প্রথমবারের মত ফুটসালে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি। এটা আমাদের জন্য নতুন এক অভিজ্ঞতা। সেদিক থেকে আমরা চেষ্টা করবো সর্বোচ্চটা দেয়ার। দলের অধিকাংশই নতুন। কেবল আমারই অভিজ্ঞতা আছে। যাদের বিপক্ষে খেলা তাদের সম্পর্কেও ধারণা নেই। তবু আমরা আমাদের সেরাটা দিয়েই চেষ্টা করবো।’
মূলধারার ফুটবল থেকে একটু ভিন্ন ফুটসাল। গতির সঙ্গে ব্যক্তিগত নৈপুণ্যটাও এধরনের ফুটবলে বড় প্রভাব ফেলে। তাই খেলার ধরণ মাথায় রেখে খেলোয়াড় বাছাই করার কথা রোববার সংবাদমাধ্যমকে জানান গোলাম রব্বানী ছোটন। ফুটসালের মাধ্যমে শিষ্যদের দক্ষতার বাড়ানোর আশা লাল-সবুজ কোচের।
‘গতকাল (শনিবার) আমরা এক ঘণ্টা ট্রেনিং করেছি। তাতে দেখা গেছে তাদের রক্তচাপটা ছিল ১৭৫ থেকে ১৭৮ পর্যন্ত। এতেই বোঝা যায় ফুটসাল তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বীতার খেলা। খেলার মধ্যে থাকতে হয়। স্ট্যামিনা খুব জরুরি এখানে। আমরা এখানে প্রথমবারের মত খেলতে যাচ্ছি। অভিজ্ঞতা অর্জনটাই এখানে মূল বিষয়। প্রতিপক্ষকে ছাড় দেয়া হবে এমন ভাবাটা হবে বোকামি।’