কার্ডিফ থেকে: অবিশ্বাস্য ম্যাচ জিতল বাংলাদেশ। টিকে রইলো আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ক্রিকেটের সেমিফাইনালে খেলার আশা। কার্ডিফের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ইতিহাস গড়লেন সাকিব আল হাসান এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুজনে মিলে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে গড়েছেন ২০০’র বেশি রানের পার্টনারশিপ।
৩৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়েও নিউজিল্যান্ডের ২৬৫ রান বাংলাদেশ পেরিয়ে যায় প্রায় ৩ ওভার না খেলেই। দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে ১১৪ রানে ফেরেন সাকিব আল হাসান। আর রিয়াদের সংগ্রহ অপরাজিত ১০২ রান।
বাংলাদেশের ইনিংসের প্রথম দশ ওভারেই সব সম্ভাবনা সমীকরণের ইতি। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে কিউই পেসার সাউদি তামিমকে ফেরান। তৃতীয় ওভারে সাব্বির আর পরের ওভারে তামিমের পার্টনার সৌম্য ফিরে যেতেই ২৬৬ রানের টার্গেট বাংলাদেশের জন্য কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে ওঠে।
টানা দুদিনের বৃষ্টিতে উইকেটে প্রথমে ব্যাট করার সাহসী সিদ্ধান্তটা নিউজিল্যান্ডকে বিপদেই ফেলে। ৬৯ রানে দুই ওপেনার রঞ্চি ও গাপটিলকে হারানো ব্ল্যাক-ক্যাপসদের বিপর্যয় থেকে উদ্ধার করে অধিনায়ক উইলিয়ামসন ও রস টেইলরের ৮৩ রানের পার্টনারশিপ।
আসরে টানা তৃতীয় ফিফটি পাওয়া উইলিয়মাসন করেছেন ৫৭। সাকিব-মোসাদ্দেকের যৌথ উদ্যোগে তার রান আউটেই ম্যাচে ফেরে টিম টাইগার্স।
কিউই ইনিংসের বাকিটা একেবারেই টেইলর নির্ভর। ৬ বাউন্ডারিতে ৬৩ করে তাসকিনকে উইকেট দিয়েছেন তিনি।
বাউন্সি উইকেটে টাইগার পেসারদের পাশাপাশি স্পিন ভেলকি দেখিয়েছেন অকেশনাল অফস্পিনার মোসাদ্দেক। পরপর দুই ওভারে ব্রুম, অ্যান্ডারসন ও নিশামকে ফিরিয়ে মোসাদ্দেক রুখে দেন নিউজিল্যান্ডের বিশাল স্কোর গড়ার স্বপ্ন। মোসাদ্দেকের তিন ও তাসকিনের দুই উইকেট শিকারে ইনিংসের শেষ দশ ওভারে ৬২ রান যোগ করা নিউজিল্যান্ডের স্কোর থামে ৮ উইকেটে ২৬৫তে।