রাজধানীর হাতিরঝিলে বিজিএমইএ ভবন ভাঙার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে আজ। সকাল থেকে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, টেলিফোন লাইনসহ সব ধরণের সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ভবনটি থেকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা শুরু হয়েছে, এরপরই মূল ভবন ভাঙার কার্যক্রম শুরু হবে।
রাজউক জানিয়েছে, ভবন ভাঙার কাজের সময় পুলিশ সেনাবাহিনী, আনসার, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।
১২ এপ্রিল ‘বিজিএমইএ ভবন’ অপসারণে আপিল বিভাগের দেয়া এক বছর সময় শেষ হয়েছে।
গত বছরের ২ এপ্রিল সর্বোচ্চ আদালত ভবনটি অপসারণে তৈরি পোশাক ও রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ’কে এক বছর দশ দিন সময় দেন।
জলাধার আইন ভেঙে নির্মিত বিজিএমইএ ভবনকে সৌন্দর্যমণ্ডিত হাতিরঝিল প্রকল্পে ‘একটি ক্যান্সার’ বলে অভিহিত করেছিলেন হাইকোর্ট। ওই ভবন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় আপিলেও বহাল থাকে।
পরে বিজিএমইএ রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করলেও তা খারিজ হয়ে যায়। ভবনটি টিকিয়ে রাখতে বিজিএমইএ নেতারা বহু চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু দীর্ঘ আট বছর মামলা লড়ে অবশেষে পরাজিত হন তারা।
ভবনের সামনে সকাল ৯টা থেকেই সব সরঞ্জাম অপেক্ষা করে রয়েছে। গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পর সাথে সাথে ভবন ভাঙার কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ভেতরে অর্থসহ আরও বেশ কিছু মূল্যবান জিনিসপত্র রয়েছে উল্লেখ করে সেগুলো সরানোর জন্য দু’ঘণ্টা সময় চায় বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ।
এ অনুরোধের প্রেক্ষিতে তাদেরকে বেলা ১১টা পর্যন্ত সময় দেয়া হলেও এর মধ্যে সবকিছু সরিয়ে নিতে পারেনি তারা।