অফশোর কর ফাঁকির তালিকায় রয়েছে বহুদেশ। পানামা-ভিত্তিক একটি আইনজীবী প্রতিষ্ঠান থেকে ফাঁস হওয়া নথিপত্রে দেখা যাচ্ছে, অনেক সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান, তাদের আত্মীয় স্বজন, নামী-দামী ব্যাক্তিত্ব, ব্যবসায়ী নিজের দেশে কর ফাঁকি দিতে নামে-বেনামে কয়েকটি দেশে টাকা রেখেছেন।
ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, অফশোর ম্যাপে হংকংয়ের কর ফাঁকির তালিকায় ৩৭ হাজার ৯১৯টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাদের ক্লায়েন্ট ২ হাজার ১৯২টি, বেনিফিশিয়ারিস ১ হাজার ১৯৩টি, শেয়ার হোল্ডার্স ১২ হাজার ৭৬১টি।
রাশিয়ার কর ফাঁকির তালিকায় ৪ হাজার ১৯৮টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাদের ক্লায়েন্ট ৭৪টি, বেনিফিশিয়ারিস ৮৭১টি, শেয়ার হোল্ডার্স ৩ হাজার ১৯৯টি।
আমেরিকার কর ফাঁকির তালিকায় ৩ হাজার ৭২টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাদের ক্লায়েন্ট ৪৪১টি, বেনিফিশিয়ারিস ২১১টি, শেয়ার হোল্ডার্স ৩ হাজার ৪৬৭টি।
তাইওয়ানের কর ফাঁকির তালিকায় ২ হাজার ৭২৫টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাদের ক্লায়েন্ট ৪৬টি, বেনিফিশিয়ারিস ১৪৬টি এবং শেয়ার হোল্ডার্স রয়েছে ৩ হাজার ৬৬১টি।
আরব আমিরাতের কর ফাঁকির তালিকায় ২ হাজার ২৭১টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাদের ক্লায়েন্ট ৮৫টি, বেনিফিশিয়ারিস ২০৬টি, শেয়ার হোল্ডার্স ২ হাজার ৭৭৯টি।
পানামার কর ফাঁকির তালিকায় ১৫ হাজার ৮৯৫টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাদের ক্লায়েন্ট ৫৮৩টি, বেনিফিশিয়ারিস ১৭৬টি এবং শেয়ার হোল্ডার্স রয়েছে ৫ হাজার ১৫৪টি।
এছাড়াও অফশোর ম্যাপে অন্যান্য দেশের কর ফাঁকির তালিকা রয়েছে। কর ফাঁকির গোপন তথ্য ফাঁস করে আলোচনার কেন্দ্রে মোস্যাক ফনসেকা।
সোমবার বিশ্বের ধনী এবং ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের কর ফাঁকির গোপন নথি ফাঁস করে বিশ্বব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি করে পানামার ওই আইনী প্রতিষ্ঠানটি।
এ পর্যন্ত কর ফাঁকির কেলেঙ্কারিতে যাদের নাম এসেছে তাদের মধ্যে আছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর পরিবারের সদস্যরা, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠজন, আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিগমুনডার ডাভিড গুনলাগসন, ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি, ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ানি ইনফ্যান্টিনোসহ আরো অনেকের নাম।