চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

১৫ ঘণ্টার মধ্যে অপহৃত শিশুকে মায়ের কোলে ফেরালো পুলিশ

আড়াই বছরের শিশু হাসিব অপহরণের ১৫ ঘণ্টার মধ্যে তাকে উদ্ধার করে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের লালবাগ বিভাগের একটি বিশেষ টিম শনিবার দুপুর থেকে ভোর রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে নারায়নগঞ্জের ফল পট্টির রেল লাইনের বস্তি থেকে অপহৃত শিশু হাসিবকে উদ্ধার করে অপহরণ চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করে।

এর আগে শনিবার সকালে হাসিব স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ থেকে হারিয়ে গেলে তার মা হাসিনা বেগম কোতয়ালী থানায় মামলা করে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন মো. আনোয়ার হোসেন, অহিদা বেগম ওরফে কুট্টি ও মো. শাহিন।

রোববার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন ঢাকা মহানগর পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মেদ ইব্রাহীম খান।

তিনি বলেন, আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় লালবাগ বিভাগের একটি বিশেষ টিম অভিযান পরিচালনা করে মাত্র ১৫ ঘণ্টার মধ্যে শিশু হাসিবকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিতে পেরেছে।

তিনি জানান, শনিবার সকালে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুই বাচ্চা হাসিব ও লামিয়াকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য আসার পর চিকিৎসা শেষে দুই বাচ্চা রেখে ওষুধ কিনে ফিরে আসলে হাসিনা তার দুই বাচ্চাকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। পরে হাসপাতালের মর্গের সামনে থেকে কন্যা লামিয়া (১১) কে ফিরে পেলেও ছেলে হাসিবকে পাচ্ছিল না। লামিয়া জানায়, কেউ একজন তার মায়ের মোবাইল নাম্বার নিয়ে যায় আর বলে হাসিবকে মায়ের কাছে নিয়ে যাচ্ছে।

শিশু হাসিব অপহরণের উদ্দেশ্য কী ছিল জানতে চাইলে মোহাম্মেদ ইব্রাহীম খান বলেন, মূলত টাকার উদ্দেশ্য হাসিবকে অপহরণ করা হয়। হাসিবের মায়ের ফোনে দুই লক্ষ টাকা মুক্তিপণও দাবী করা হয়। হাসিবকে যে অপহরণকারী অপহরণ করে সেই আনোয়ার মূলত সিএনজি ড্রাইভার।

‘হাসিবের বাবা সিঙ্গাপুর প্রবাসী। আনোয়ারের সিএনজিতে করে সব সময়ই বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করত হাসিবের মা।’

লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, আনোয়ার পূর্ব পরিকল্পনার মাধ্যমেই হাসিবকে অপহরণ করে। কারণ অপহরণের দিন আনোয়ারের সিএনজি করে নারায়ণগঞ্জ থেকে সলিমুল্লাহ মেডিকেলে আসেনি হাসিনা বেগম। অপহরণ করে আনোয়ার নারায়ণগঞ্জে তার এক আত্মীয় বাসায় লুকিয়ে রেখে মুক্তিপণ দাবী করে।

গ্রেফতারকৃত অপর দুই আসামী সম্পর্কে তিনি বলেন, অপর দুই আসামী অহিদা আনোয়ারের স্ত্রী আর শাহিন আনোয়ারের পালক সন্তান। মূলত অপহরণের পর হাসিবকে ওই বাসায় আটকে রাখতে তারা সহযোগিতা করে এবং আশ্রয় দেয়।