বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম পুনঃনিবন্ধনের প্রথম সময়সীমার মধ্যে নিবন্ধন না করা নম্বরগুলো ১ মে রোববার থেকে দৈবচয়ন ভিত্তিতে এক মাসের জন্য প্রতিদিন ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে। নিবন্ধন হয়ে গেলে এ ‘যন্ত্রণা’ থেকে মুক্তি মিললেও ৩১ মে রাত ১২টার মধ্যে যেসব সিম পুনঃনিবন্ধিত হবে না সেগুলো পরদিন ১ জুন স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
আর দৈবচয়নে তিন ঘণ্টা বন্ধের প্রক্রিয়ায় একটি সিম একবারের বেশি বন্ধ হবে না। যারা নিবন্ধনের চেষ্টা করে ব্যর্থ তারা তিন ঘণ্টা বন্ধের মধ্যে পড়বেন না।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম সংবাদ সম্মেলনে পুনঃনিবন্ধনের সময়সীমা এক মাস বাড়ানোর ঘোষণার পাশাপাশি সাময়িক ও স্থায়ী বন্ধের বিস্তারিত পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন।
রাত ১০টায় পুনঃনিবন্ধনের সময় শেষ হওয়ার ৫ ঘণ্টা আগে টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর ঘোষণা দেন। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী ৩১ মে রাত ১২টা পর্যন্ত সিম পুনঃনিবন্ধন করা যাবে।
ওই সময়ের মধ্যে পুনঃনিবন্ধন না হওয়া সব সিম পরদিন বন্ধ করে দেওয়া হবে। এর আগে ১ মে থেকে অনিবন্ধিত সিমগুলো দৈবচয়ন ভিত্তিতে প্রতিদিন প্রতীকী ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ রাখার কথাও জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে প্রথমে তিনি ৩০ মে পর্যন্ত পুনঃনিবন্ধনের সময়সীমা এবং ৩১ মে অনিবন্ধিত সিম বন্ধ করার কথা জানালেও পরে দু ক্ষেত্রেই সময় একদিন করে বাড়ানোর কথা জানান।
গত ১৬ ডিসেম্বর থেকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়। জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সার্ভারে থাকা আঙ্গুলের ছাপের সঙ্গে মিলিয়ে চলছে সিমের এই নিবন্ধন; নতুন সিম কিনতেও যেতে হচ্ছে একই প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে। আজ ছিলো সিম পুনঃনিবন্ধনের শেষ দিন।
গত ৯ মার্চ বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন কার্যক্রমের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এস এম এনামুল হক নামের এক আইনজীবী হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। এর পর বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইল সিম নিবন্ধন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে গত ১৪ই মার্চ রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
এরপর ১২ এপ্রিল সিম নিবন্ধনে আঙুলের ছাপ নেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট খারিজ করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের বেঁধে দেওয়া নিয়ম ‘যথাযথভাবে’ অনুসরণ করার নির্দেশনার পাশাপাশি গ্রাহকদের তথ্যের গোপনীয়তা নিশ্চিত করতে মোবাইল অপারেটরদেরও নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।