ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার থেকে ফিশিংকেই বড় হুমকি মনে করছে গুগল। সাম্প্রতিক সময়ে ফিশিং ইমেইল পাঠিয়ে বিভিন্ন অনলাইন অ্যাকাউন্ট হ্যাকিংয়ের ঘটনা বেড়েই চলেছে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে গুগল।
ফিশিংয়ের পর গুগলের এই তালিকায় আছে কীলগার। এটি মূলত একটি বিশেষ সফটওয়্যার যা কম্পিউটারে ইনস্টল থাকা অবস্থায় কম্পিউটারে প্রতিটি কাজের রেকর্ড রাখে। কীবোর্ডে কখন কোন কী চাপা হয়েছে, তারও হিসাব রাখে এই সফটওয়্যার। এ কারণে হ্যাকিংয়ের ক্ষেত্রে হ্যাকারদের পছন্দের তালিকায় আছে কীলগার।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া বার্কলের একদল গবেষকের সাথে এ বিষয়ে কাজ করছে গুগলের একদল নিরাপত্তা বিশ্লেষক।
বেশ কয়েকটি ব্ল্যাক মার্কেট ঘুরে তাঁরা দেখেছেন, হ্যাকিং বিশেষ করে বিভিন্ন অনলাইন অ্যাকাউন্ট থেকে ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিতে এসব ব্ল্যাক মার্কেটে আছে প্রায় ২৫ হাজার টুল। এগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে ফিশিং এবং কীলগার হিসেবে।
এক ব্লগ পোস্টে গুগল জানিয়েছে, এসব সোর্স থেকে কীলগার ব্যবহার করে চুরি করা ৭ লাখ ৮৮ হাজার, ফিশিংয়ের মাধ্যমে পাওয়া ১২ মিলিয়ন এবং অন্যান্য মাধ্যমে চুরি করা ৩.৩ বিলিয়ন ডেটার খোঁজ পেয়েছে গুগল।
এসব তথ্য ব্যবহার করে প্রায় ৬ কোটি ৭০ লাখ গুগল অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে বলেও দাবি করেছে এই সার্চ জায়ান্ট।
গুগল জানিয়েছে, এসব ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হচ্ছে ফিশিং। এ পদ্ধতিতে হ্যাকারদের সফলতা ১৫-২৫ শতাংশ। প্রাপ্ত এসব তথ্য ব্যবহার করে ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট আরও সুরক্ষিত করার কাজ করছে বলেও জানিয়েছে গুগল।