অনলাইন এখন দ্রুত বর্ধনশীল গণমাধ্যম তাই টেলিভিশনের পাশাপাশি অনলাইনকে গুরুত্ব দিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রস্তুত হতে বলেছেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ।
শনিবার চ্যানেল আইয়ের বার্তা বিভাগের বছর শেষের সাধারণ সভায় বলেন, টেলিভিশনের পাশাপাশি অনলাইনেও এখন সমান মনোযোগ দিতে হবে। কারণ মানুষ ব্রেকিং নিউজটা হয়তো টিভিতে দেখে। এরপরই বিস্তারিত জানার জন্য যায় অনলাইনে। সেখানে পড়তে চায় আসলে কী ঘটেছে।
‘একইভাবে ইউটিউবও সংবাদের একটি বড় উৎস হয়ে উঠছে,’ বলে মন্তব্য করেন চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ।
তিনি বলেন: টিভিকে বলা হয় মানুষের ড্রয়িং রুম মিডিয়া। মানুষ বাইরে থেকে বাসায় ফিরে আগে নিজের পরিবারের লোকজনের খোঁজখবর নেয়, জানতে চায় বাচ্চারা কোথায়? তারপর গিয়ে হাত দেয় টিভির রিমোটে। তবে ধীরে ধীরে অনলাইনের জায়গাটাও তৈরি হচ্ছে। তাই বলে সেজন্য যে টেলিভিশন হারিয়ে যাবে সেটা হবে না, বরং সময়ের পরিক্রমায় আবার একসময় নতুন করে সামনে আসবে টেলিভিশন।
আগামী বছরে সকল কর্মীকে নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সবাইকে আমি বলতে চাই, নিজেকে প্রশ্ন করুন, আপনি আপনার দায়িত্বটুকু ঠিকভাবে পালন করছেন কিনা। তাহলে বুঝতে পারবেন কোথায় পরিবর্তন আনতে হবে।
বাংলাদেশে কৃষি সাংবাদিকতার পথিকৃৎ শাইখ সিরাজ বলেন: ৫ বছর আগে আমাদের সাংবাদিকতা যেরকম ছিলো, এখন মোটেও সেরকম নেই। অনেক পরিবর্তন এসেছে। আরো পাঁচ বছর পরে সেই অবস্থাও থাকবে না। একজন ব্যক্তিও কখনো একরকম থাকে না। পাঁচ বছর আগের ‘আমি’ আর এখনকার ‘আমি’র মধ্যে অনেক পার্থক্য।
এ বছরের ডিসেম্বর মাসে চ্যানেল আই টিভি ও চ্যানেল আই অনলাইনে প্রচারিত সোমা ইসলামের ‘মুক্তিযুদ্ধে কলকাতা’ সিরিজের প্রশংসা করে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের এই দিকটি সম্পর্কে নতুন প্রজন্ম একবারেই জানতো না। ফলে এই রিপোর্টগুলোর মধ্যে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের একটি নতুন দিক তাদের কাছে উঠে এসেছে। আর সেটা অনেকের মধ্যে প্রশংসাও কুড়িয়েছে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিলও। এই ধরনের কাজ অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার।
সেসময় তিনি চ্যানেল আইয়ের কর্মীদের নানা দিক নির্দেশনা দিয়ে বলেন, কীভাবে নিজের তৈরি সংবাদটিকে আরো ভালোভাবে পরিবেশন করা যায় সে বিষয়ে সবাইকে সৃজনশীল হতে হবে। তবে, সবার আগে স্থান দিতে হবে সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতাকে।
আলোচনায় অংশ নেন চ্যানেল আই’র প্রধান বার্তা সম্পাদক প্রণব সাহা, চ্যানেল আই’র বার্তা সম্পাদক ও চ্যানেল আই অনলাইনের এডিটর জাহিদ নেওয়াজ খান এবং চ্যানেল আই’র অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর আরেফিন ফয়সল।