চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

অজিদের অ্যাশেজ নৌকার দাঁড় টানছেন সেই স্মিথই

স্টিভ স্মিথ আবার কাঁদিয়ে ছাড়ছেন ইংল্যান্ডকে। ২৯৪ রানে ইংলিশদের অলআউট করার পর ৮৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ওভালে চাপে পড়েছিল অজিরা। যথারীতি জো রুটের সব পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়ে ক্রিজে চুইংগামের মতো থিতু হয়ে যান স্মিথ। যাকে আউট করার অঙ্ক পাঁচ টেস্টেও বের করতে পারল না ইংল্যান্ড।

অ্যাশেজ তো অস্ট্রেলিয়া দখলে রেখেছেই, বলা হচ্ছে, একা স্মিথই অজিদের অ্যাশেজ নৌকার দাঁড় টেে ইংল্যান্ডের সব স্বপ্নে ছায়া ফেলে দিয়েছেন।

এখনই সিরিজে ৭৫১ রান করে ফেলেছেন স্মিথ। কেউ কেউ বলছেন, হেডিংলেতে তিনি খেললে কোনো এক টেস্ট সিরিজে করা ব্র্যাডম্যানের ৯৭৪ রানের বিশ্বরেকর্ডও সংশয়ে পড়ে যেত।

সেই এজবাস্টন থেকেই ধারাবাহিকতায় নিজেকে তুঙ্গে নিয়ে গেছেন অজি ক্রিকেটার। এক বছর নির্বাসনের পরে টেস্টে ফিরে এই প্রত্যাবর্তন টেস্ট ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকছে। তিনি না থাকার সময় বিরাট কোহলি দখল করেছিলেন টেস্টে তার এক নম্বর জায়গাটা। যথারীতি এই সিরিজে বিরাটকে টপকে আবার এক নম্বরে ফিরে এসেছেন স্মিথ।

ধারাভাষ্য দেয়ার সময় জিওফ্রে বয়কট যেমন বলেছেন, ‘এই অবিশ্বাস্য ধারাবাহিকতা দেখে মুগ্ধ হওয়া ছাড়া উপায় নেই।’

অজি কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার আবার বলেছেন, ‘আমার মনে হয়েছিল, সব ফরম্যাটে বিরাটই বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটসম্যান। কিন্তু স্মিথ নিজেকে একটা অন্য লেভেলে নিয়ে গেছেন।’

শেষ পর্যন্ত অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস শেষ ২২৫ রানে। স্মিথ করেন ৮০। আর্চার বল হাতে আবার দুর্দান্ত। নেন ৬২ রানে ৬ উইকেট। ৩ উইকেট স্যাম কারেনের। একটি ক্রিস ওকসের। স্মিথ ছাড়া আর বাকি কেউই দাঁড়াতে পারেননি। বিনা উইকেটে ৯ রানে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করে ইংল্যান্ড।

এখনই সিরিজে ৭৫১ রান করে ফেলছেন স্মিথ। গত ৮৩ বছরে কোনো অ্যাশেজ সিরিজে মার্ক টেলর ও অ্যালিস্টার কুক ছাড়া এত রান আর কেউ করেননি। ওভালে আরও একটি ইনিংস পাবেন স্মিথ।

গত দিনের ২৭১-৮ অবস্থায় শুরু করে ইংল্যান্ডের ইনিংস বেশিক্ষণ টেকেনি। ২৯৪ রানের গুটিয়ে যায়। কিন্তু ডেভিড ওয়ার্নার (৫) ও মার্কাস হ্যারিসকে (৩) দ্রুত ফিরিয়ে দিয়ে ইংল্যান্ডকে স্বপ্ন দেখান আর্চার। মার্নাস লাবুশানেকেও ফেরান আর্চারই। তবে আউট হওয়ার আগে ৪৮ করে যান তিনি। ম্যাথু ওয়েডকে (১৯) ফেরান স্যাম কারেন। শেষ দিকে পিটার সিডল (১৮) ও নাথন লায়ন (২৫) কিছুটা রান না তুললে আরও খারাপ দেখাত অস্ট্রেলিয়াকে।