একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলার সাক্ষ্যে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও গ্রেনেড হামলায় আহত ডক্টর হাছান মাহমুদ বলেছেন, হামলার জন্য যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার হওয়া আর্জেস গ্রেনেড বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সন্ত্রাসীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিলো।
মামলার ১২৯তম সাক্ষী হিসেবে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিশেষ এজলাসে সাক্ষ্য দিয়েছেন তিনি।
হাছান মাহমুদ জানান, হামলার সময় শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সহকারী ও আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে তিনি জনসভাস্থলে ছিলেন। গ্রেনেড হামলায় আহত হয়ে ঢাকার শিকদার মেডিকেলে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
সাক্ষ্য শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সেদিনের হামলার উদ্দেশ্য ছিল আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার মাধ্যমে তার দলকে নেতৃত্ব শূন্য করা। ২১ আগস্টের হামলায় আর্জেস গ্রেনেডে ব্যবহার হয়েছিলো উল্লেখ করে তিনি বলেন, এগুলো সাধারণত যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। সাধারণ সন্ত্রাসীদের কাছে বিশেষ এসব গ্রেনেড বিশেষ ব্যবস্থায় পৌঁছে দেয়া হয়েছিলো।
তিনি বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে সেদিন গ্রেনেড হামলা চালানো হলেও তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার তার কোনো বিচার করেনি।
সাক্ষ্য দেয়ার পর হাছান মাহমুদকে জেরা করে আসামীপক্ষ। তবে বেশিরভাগ আসামী আইনজীবী থেকে তাকে জেরা করেননি।
এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী রেজাউর রহমান বলেন, আসামী আব্দুস সালাম পিন্টুর আইনজীবী মামলার ১২৯ নম্বর সাক্ষী হাসান মাহমুদের বক্তব্যকে ‘আংশিক সত্য’ বলে দাবি করেছেন।
ডক্টর হাছান মাহমুদের পর আদালতে সাক্ষ্য দেন শেখ হাসিনার ওই সময়ের গাড়ির চালক আব্দুল মতিন।