১২ ডিসেম্বরকে ‘জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস (ন্যাশনাল আইসিটি ডে)’ ঘোষণার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১২ ডিসেম্বরকে ‘জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস’ হিসেবে ঘোষণার জন্য চলতি বছরের ১২ নভেম্বর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিবের সভাপতিত্বে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় ১২ ডিসেম্বর দিনটিকে ‘জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস’ হিসেবে পালনের জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
‘‘অর্থ বিভাগ থেকে ‘জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস হিসেবে পালনের বিষয়ে অনাপত্তি জানানো হয়। এই প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতায় সোমবার মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে ১২ ডিসেম্বরকে ‘জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস’ ঘোষণার প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।’’
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সভাপতি, জননেত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প ঘোষণা করেন। জনগণ সে ঘোষণায় আস্থা রেখে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করার মাধ্যমে জনসেবা করার সুযোগ করে দেয়। সরকার গঠনের পর আমাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ দেশে-বিদেশে প্রশংসিত এবং অনুকরণীয়। দেশের মানুষ এই রূপকল্পের সুফল ভোগ করছে।ফলে মন্ত্রিসভা কর্তৃক আজকের এই অনুমোদনের ফলে ডিজিটাল বাংলাদেশ কার্যক্রম চূড়ান্ত লক্ষ্যের দিকে আরও একধাপ অগ্রগতি হলো।’
জাতীয়ভাবে আইসিটি দিবস পালনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে জানানো হয়, বাংলাদেশের ডিজিটাল বিপ্লবের ঘোষণাটি আসে ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর। ওইদিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে যে রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের ঘোষণা দেন তার মূল উপজীব্য ছিল ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’।