যুক্তরাষ্ট্রে মধ্য ডিসেম্বরে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ভ্যাকসিন অনুমোদন পেলেও সাধারণ মানুষকে তা পেতে অপেক্ষা করতে হবে মধ্য মার্চ পর্যন্ত।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয় সেন্টারস ফর ডিজিস কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেন্টিং- সিডিসি’র গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। এতে ভ্যাকসিন এফডিএ’র অনুমোদন পেলে কিভাবে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে, ন্যায্যতার ভিত্তিতে এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ব্যক্তির কাছে পৌঁছানো যায় সে ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সিডিসি কর্মকর্তারা তিনটি পর্যায়ে ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। প্রথম পর্যায়ে চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট সকলকে যেমন ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ও এদের সাথে থাকা প্রশাসনিক কর্মকর্তা, কর্মচারীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে বয়স্ক মানুষ ও জটিল রোগে আক্রান্ত মানুষ, গ্রাম এলাকায় বহুমুখী কাজে লেগে মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। শেষ বা তৃতীয় পর্যায়ে দেওয়া হবে সাধারণ মানুষকে।
সিডিসির ধারণা, প্রথম পর্যায়ে সম্মুখ যোদ্ধাদের ভ্যাকসিন দিতে সময় লাগবে পুরো দেড় মাস। অর্থাৎ মধ্য ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারীর শেষ পর্যন্ত। দ্বিতীয় পর্যায়েও সময় লাগবে দেড় মাস। অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে মার্চ মাসের মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত। তারপরই ভ্যাকসিন আসবে সাধারণ মানুষের কাছে। সিডিসির কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলো, কারা আগে ভ্যাকসিন পাওয়ার দাবিদার তাদেরকেই আগে দেওয়া। এ ব্যাপারে তাদের কারো প্রতি আনুকল্য নেই।

তবে একেক স্টেট একেকভাবে প্রস্ততি নিচ্ছে ভ্যাকসিন সংগ্রহের ব্যাপারে। তারা এখনও সিডিসির গাইডলাইন মেনেই কাজ করছে।
এদিকে গতকাল, যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা ফাইজার এবং জার্মানির বায়োএনটেক তাদের তৈরি ভ্যাকসিন চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিয়ন্ত্রকদের কাছে আবেদন করেছে। চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে ডিসেম্বরের মধ্যেই ভ্যাকসিনের প্রয়োগ শুরু হবে। পাশাপাশি এই মাসের মধ্যেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশে তা পৌঁছে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠান দুটি।
সংস্থা দুটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, জাপানসহ আরো কয়েকটি দেশেও তাদের ভ্যাকসিন অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছে।