এসএসসি পরীক্ষার বাংলা প্রশ্নের সৃজনশীল অংশে ডাক্তারকে ‘লোভী’ হিসেবে উপস্থাপনের জন্য দেশের ডাক্তারি পেশা নিয়ে আলোচনা এবং এই পেশা সংশ্লিষ্টদের পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় সরব সামাজিক মাধ্যম।
‘জাহেদ সাহেব একজন লোভী ডাক্তার। অভাব ও দারিদ্র বিমোচন করতে গিয়ে তিনি সব সময় অর্থের পেছনে ছুটতেন… অর্থ উপার্জনই তার একমাত্র নেশা।’
আজকে এসএসসি পরীক্ষার বাংলার সৃজনশীল অংশে এমন একটা প্যারা দিয়ে কয়েকটা প্রশ্ন করা হয়েছে।
আর এতেই ডাক্তারদের নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। প্রশ্নপত্রে ডাক্তারি পেশা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে অভিযোগ করে নিন্দা জানিয়েছে চিকিৎসকদের এক পক্ষের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)। এই ধরণের ‘বিভ্রান্তি’ ছড়ানোদের আইনের আওতায় আনারও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
স্বাচিপ-এর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের তরুণ প্রজন্মেও কাছে এরকম মিথ্যা, বানোয়াট,কুরচিপূর্ণ ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য পরিবেশন জাতির জন্য এক কলঙ্কজনক অধ্যায়।
এজন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে স্বাচিপ।
চিকিৎসা পেশা নিয়ে এমন প্রশ্নে ব্যাথিত হয়েছেন চিকিৎসা পেশার সেবার দিককে প্রাধান্য দেয়া সাংবাদিক শরিফুল হাসান।
ফেসবুকে তিনি লিখেছেন,‘বিষয়টা আমায় বেশ আহত করেছে। কারণ সব পেশায় ভালো মন্দ লোক আছে। এই যে ভালো মন্দ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। আমার সাংবাদিকতা পেশায় তো খারাপের জয়জয়কার। বিভিন্ন সময়ে আমি সাংবাদিকতাসহ এই খারাপ লোকেদের নানা অন্যায় অনিয়মের প্রতিবাদ করেছি। এর মধ্যে ডাক্তাররাও ছিলেন। তবে ডাক্তারদের প্রতিটা লেখায় বলেছি খারাপের পাশাপাশি ভালোরাও আছেন।
আমি চাই খারাপদের হটিয়ে ভালোদের জয়জয়কার হোক। আজ সকালেও ডাক্তার সাব্বিরের আত্মসমালোচনার প্রশংসা করে বলেছি ডাক্তাররা তাদের হারানো গৌরব ফিরে পাক। কিন্তু কোমলমতি শিশুদের প্রশ্নপত্রে যেভাবে বিষয়টা উপস্থাপন করা হয়েছে সেটা ঠিক হয়নি।’