চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

ট্রাম্প-জামাতাও হিলারির মতোই ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহার করে বিতর্কে

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিনিয়র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্বরত তার জামাতা জ্যারেড কুশনার হোয়াইট হাউজের দাপ্তরিক কাজের জন্য ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহার করেছেন।

রোববার এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুশনারেরই আইনজীবী অ্যাব লওয়েল।

লওয়েলের বরাত দিয়ে প্রথম এ বিষয়ে গণমাধ্যমে তথ্যটি প্রকাশ করে পলিটিকো। সেখানে জানানো হয়, কুশনার বিভিন্ন ইভেন্ট উপলক্ষে গণমাধ্যমে কাভারেজ এবং পরিকল্পনাসহ নানা প্রসঙ্গে হোয়াইট হাউজের অন্যান্য বেশ ক’জন কর্মকর্তার সঙ্গে অসংখ্য ই-মেইল চালাচালি করেছেন।

‘কুশনার হোয়াইট হাউজ সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডের জন্য তার হোয়াইট হাউজ ই-মেইল অ্যাড্রেসই ব্যবহার করেন,’ বিবৃতিতে বলেন লওয়েল, ‘তবে জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত শ’খানেকের কিছু কম মেইল কুশনার তার হোয়াইট হাউজের সহকর্মীদের কাছে হয় নিজে পাঠিয়েছেন, অথবা তাদের পাঠানো ই-মেইলের জবাব দিয়েছেন।’

‘এগুলো ছিল সাধারণত ফরোয়ার্ড করা সংবাদ বা রাজনৈতিক মতামত প্রতিবেদন এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ছিল হোয়াইট হাউজ ই-মেইল অ্যাড্রেসের বদলে তার ব্যক্তিগত ই-মেইলে পাঠানো মেইলের জবাব মাত্র,’ বলেন প্রেসিডেন্টের সিনিয়র উপদেষ্টার আইনজীবী।

তবে ব্যক্তিগত ই-মেইল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে হোয়াইট হাউজ বা যুক্তরাষ্ট্রের গোপন কোনো তথ্য কুশনার আদান-প্রদান করেছেন, এমন কোনো ইঙ্গিত ই-মেইলগুলোতে পাওয়া যায়নি বলে জানান লওয়েল।ডোনাল্ড ট্রাম্প-জ্যারেড কুশনার-ই-মেইল-হিলারি ক্লিনটন

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিপক্ষ ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকা অবস্থায় ব্যক্তিগত ই-মেইল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছিলেন বলে বারবার তীব্র সমালোচনা করেছেন।

নির্বাচনের আগে, এমনকি প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরও ভক্তদেরকে ট্রাম্প উৎসাহিত করতেন ব্যক্তিগত ই-মেইলে অফিশিয়াল কাজ করার দায়ে হিলারির বিরুদ্ধে ‘তাকে জেলে ভরো’ স্লোগান দেয়ার জন্য। হিলারি রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ব্যক্তিগত ই-মেইলের মাধ্যমে চালাচালি করে থাকতে পারেন – এমন আশঙ্কা থেকে তাকে শাস্তি হিসেবে কারাগারে পাঠানোর প্রতিজ্ঞাও করেছিলেন ট্রাম্প।

অথচ নিজে প্রেসিডেন্ট হওয়ার এক বছর না হতেই তার জামাতা কুশনার একই বিতর্কের মুখে পড়লেন।