আগের ম্যাচেই এবারের বিপএলে প্রথম সেঞ্চুরি করেছিলেন লরি ইভান্স। এদিনও রান পেলেন ইংলিশ ব্যাটসম্যান। শুরুটা ধীরে হলেও শেষে ঝোড়ো ফিনিশিংয়ে দেড় শতাধিক রানের স্কোর গড়ছে তার দল।
ইভান্সের ৭৪ রানের ইনিংসে ভর করে চট্টগ্রাম ভাইকিংসকে ১৫৮ রানের টার্গেট দিয়েছে রাজশাহী কিংস। নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেটে ১৫৭ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজের দল।
বিপিএলের ২৭তম ম্যাচে উভয় দলই একটি করে পরিবর্তন নিয়ে নামে। শ্রীলঙ্কার সানাকার জায়গায় এদিন ভাইকিংস দলে নেয় নাজিবুল্লাহ জাদরানকে। আর শাহারিয়ার নাফিসকে বসিয়ে রাজশাহী নেয় সৌম্য সরকারকে।
টস হেরে ব্যাটে নামে রাজশাহী। সুযোগ পেয়ে এই ম্যাচেও কিছু করতে পারেননি সৌম্য। ওপেন করতে নেমে ৬ বল খেলে আউট হন ৩ রানে। ব্যর্থ মার্শাল আইয়ুবও। তার অবস্থা আরও খারাপ। সাত বল খেলে এক রান। দলীয় আট রানেই দুই উইকেট নেই। প্রথমে সৌম্যকে ফেরান রবি ফ্রেইলিঙ্ক। আর আইয়ুবকে ফেরান খালেদ আহমেদ।

দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন দুই বিদেশি ইভান্স ও রায়ান টেন ডেসকাট। আগের ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে জুটিতে ১৪৮ রান তুলে অবিচ্ছিন্ন ছিলেন এ দুজন। এদিনও তেমন ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। কিন্তু ২৮ রান করে ডেসকাট ফিরতেই শেষ হয় সম্ভাবনা। ডাচ তারকাকে আবু জায়েদ রাহি ফেরানোর পর দ্রুতই জাকির হাসানের (৫) উইকেট তুলে নেন সানজামুল ইসলাম।
দলকে একাই টানছিলেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান। শেষ পর্যন্ত খালেদ আহমেদ ফেরান ইভান্সকে। ৫৬ বলে আটটি চার ও দুই ছক্কায় ৭৪ রান করে মুশফিকের হাতে ক্যাচ হন তিনি।
এদিন আর ওপেন করেননি রাজশাহী অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে শেষদিকে ক্রিজে আসেন তিনি। নিজে ১০ রান করলেও ক্রিস্টিয়ান জোঙ্কারের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ৩৮ রানের জুটি গড়েন। তিন চার ও দুই ছক্কায় ২০ বলে ৩৬ রান করে অপরাজিত থাকেন জোঙ্কার। শেষ ২৬ বলে ৬৫ রান নিয়ে লড়াইয়ের পুঁজি গড়ে রাজশাহী।