তৃতীয় দিনের সকালে যখন ব্যাটিংয়ে নামল না ভারত, উদ্দেশ্য তখনই পরিষ্কার- বাংলাদেশকে যতদ্রুত সম্ভব অলআউট করে দেয়ার পরিকল্পনা কোহলিদের। সেটা বাস্তবায়নে মুক্তহস্ত হলেন ইমরুল, সাদমান, মিঠুন, মুমিনুলরা। লাঞ্চের আগেই খোলাসা হয়ে পড়ে ম্যাচে আশাই দেখছে না সফরকারীরা। চা বিরতির আগেই ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে তো ইনিংস পরাজয়ের মুখেই টাইগাররা।
ইন্দোরের হলকার স্টেডিয়ামে ৩৪৩ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। দিনের প্রথম সেশনে অধিনায়ক মুমিনুল হকসহ চার উইকেট হারায় তারা। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই ফিরে যান অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। খানিক প্রতিরোধ গড়ে পরে ফিরেছেন লিটন দাসও।
ইনিংস হার এড়াতেই এখনও ১৭৬ রান দরকার বাংলাদেশের। উইকেটে দুই শেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী মিরাজ।
প্রথম সেশনে মুমিনুল ও মোহাম্মদ মিঠুনকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের ইনিংসকে নড়বড়ে করে দেন মোহাম্মদ শামি। লাঞ্চের পর পঞ্চম ওভারে আবারও তার ধাক্কা। স্বাগতিক পেসারের অফস্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা মেরে ১৫ রানে রোহিতের হাতে স্লিপে ধরা পড়েন মাহমুদউল্লাহ।
৭২ রানে ৫ উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলানোর চেষ্টায় মোটামুটি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। ৭৭ বলে ৬৩ রান উঠে আসে এ জুটিতে। ওয়ানডে স্টাইলে খেলে ভালোই রান তুলছিলেন লিটন। ৩৯ বলে ৩৫ করার পর উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে মারতে গিয়ে বল ফেরত দেন বোলার রবিচন্দ্র অশ্বিনের হাতে। ফিরতি ক্যাচ ধরতে বেগ পেতে হয়নি অফস্পিনারকে।
এর আগে দিনের শুরুতেই উইকেট হারানোর মিছিলের সূত্রপাত ইমরুল কায়েসের হাত ধরে। প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ বাঁহাতি ওপেনার করেছিলেন ৬ রান, দ্বিতীয় ইনিংসেও ঠিক একই রানে ফিরেছেন। আগের ইনিংসে উমেশ যাদবের বলে ক্যাচ দিয়েছেন, এবার বোলার একই তবে হয়েছেন বোল্ড।
আরেক ওপেনার সাদমানও ফিরেছেন ঠিক ৬ রানে। আগের ইনিংসে তার নামে পাশে ৬ রানই। বোলারও একই। ইশান্ত শর্মার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছিলেন প্রথম ইনিংসে, এবার বোল্ড।
অধিনায়ক মুমিনুল হক কিছুক্ষণ ছিলেন, তবে ইনিংস টানতে পারেননি। এলবিডব্লিউ হয়েছেন ৭ রান করে। রিভিউ নিয়ে তাকে ফেরান মোহাম্মদ সামি।
মোহাম্মদ মিঠুনও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৪ চারে ২৫ বলে ১৮ পর্যন্ত গিয়েছিলেন। এরপরই সামিকে পুল খেলতে যেয়ে বাজে শটে ক্যাচ দেন। প্রথম ইনিংসে তার ব্যাটে এসেছিল ১৩, এলবি হয়েছিলেন সামির বলেই।