আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে কার্যক্রম স্থবির থাকা রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্র। তবে রোকেয়ার বসত ভিটা ঠিকমত সংরক্ষণ না হওয়ায় ক্ষোভ রয়েছে এলাকাবাসীর। পর্যটন কেন্দ্র তৈরিসহ রোকেয়ার আদর্শ চর্চায় সরকারকে আন্তরিক হওয়ার দাবী তাদের।
শতবর্ষ পুরনো এই জরার্জীণ-ধ্বংসাবশেষের দেয়াল ভেদ করে নারী মুক্তির আলো এসেছিলো বেগম রোকেয়ার চিন্তায়। এই কক্ষে বসে নারী উন্নয়নের স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। কিন্তু প্রায় ধ্বংসের মুখে বেগম রোকেয়ার স্মৃতিমাখা এই বসতভিটা।
রংপুর সিটি থেকে মাত্র ৯ কিলোমিটার দূরে মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ গ্রামে ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর জন্ম রোকেয়ার। রোকেয়ার স্মৃতি নিদর্শন দেখতে আসা দর্শনার্থীরা দাবি জানিয়েছে এর সংস্কারের।
২০০১ সালে ৩ দশমিক এক পাঁচ একর জমির উপর গড়ে তোলা বেগম রোকেয়া স্মৃতিকেন্দ্রে রোকেয়ার জীবন ও কর্ম সর্ম্পকে গবেষণা, তাঁর গ্রন্থাবলীর অনুবাদ, প্রচার ও প্রকাশনা, সাংস্কৃতিক চর্চাসহ অন্যান্য কার্যক্রম নিয়ে স্মৃতিকেন্দ্র চালু হলেও ২০০৪ সালের পরে আর তা এগোয়নি।
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্মৃতিকেন্দ্রের কার্যক্রম দ্রুত চালুসহ উপ-পরিচালক ও গ্রন্থাগারিকের বেতন রাজস্ব খাতে নেয়ায় কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও এখনও কোন সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না কর্মচারীরা।
রোকেয়ার স্মৃতি চির জাগ্রত রাখতে তার জন্মস্থানটিকে দৃষ্টি নন্দন ও আধুনিকতার ছোঁয়ায় নিয়ে আসার দাবী এলাকাবাসীর।
আরও দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: