চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Nagod

‘আরেক মহামারি’র জন্য কতটা প্রস্তুত আমরা?

KSRM

করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সফল প্রথম ভ্যাকসিন ‘অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা’র অন্যতম উদ্ভাবক ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সারাহ গিলবার্ট বিশ্ববাসীকে চমকে উঠার মতো নতুন এক খবর দিয়েছেন। তিনি সবাইকে সতর্ক করে বলেছেন, ‘একটি ভাইরাসের কারণে মানুষের জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে পড়ার এটাই শেষ ঘটনা নয়। এর পরের মহামারি আরও খারাপ হতে পারে।’

শুধু তাই নয়, তার ধারণা বর্তমান করোনাভাইরাসে সৃষ্ট সংকটের চেয়ে ভবিষ্যতের ওই মহামারি আরও সংক্রামক এবং প্রাণঘাতী হতে পারে। কারণ ভাইরাসটির নতুন ধরন ওমিক্রনের বিরুদ্ধে বর্তমান ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কম হতে পারে।

Bkash

নানা মাধ্যেমে আমরা আগেই জেনেছি, সাউথ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হওয়া ওমিক্রন খুব দ্রুত সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে। প্রতিবেশী দেশ ভারত-সহ এরই মধ্যে পৃথিবীর ৪০টিরও বেশি দেশে তার অস্তিত্ব শনাক্ত হয়েছে। সবারই এক কথা, নতুন ধরন নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। প্রস্তুতি নিতে হবে তা মোকবিলার।

সেই অর্থে আমরা ঠিক কতটা প্রস্তুত? এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশ ওমিক্রনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আলাদাভাবে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। বিশেষ করে আলাদা হাসপাতাল, অক্সিজেনের পর্যপ্ত সরবরাহ ব্যবস্থা, চিকিৎসক-নার্স ইত্যাদির মতো অতিগুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোর প্রতি জোর দিয়েছে।

Reneta June

যদিও ওমিক্রনের বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক প্রথমবারের মতো দেয়া আনুষ্ঠানিক বক্তব্যে বলেছেন, ‘এ নিয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় অনেকগুলো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যা যা প্রস্তুতি নেয়া সম্ভব, ইতোমধ্যেই তার সবই নেয়া হয়েছে।’

অবশ্য সেসব প্রস্তুতির বিষয়ে যতদূর জানা গেছে, তার মধ্যে অন্যতম হলো- ঢাকায় যেসব হাসপাতালে আগে কোভিড চিকিৎসা হয়েছে, সেগুলিকে নতুন করে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও সাউথ আফ্রিকা-সহ ওমিক্রন আক্রান্ত কোনো দেশ থেকে কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশে আসলে তাকে ৪৮ ঘণ্টা আগে বাধ্যতামূলক করোনা টেস্ট করে আসতে হবে। এরপর তাকে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। পাশাপাশি স্থালবন্দর ও সীমান্তে করোনা পরীক্ষায় জোরদার দেয়া হয়েছে।

এসব প্রস্ততিকে আমরা সাধারণ প্রস্তুতি বলেই মনে করি। কিন্তু প্রকৃত প্রস্তুতি ঠিক কতটা? সেটা জানা অনেক সময় কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, ‘সব প্রস্তুতি সম্পন্ন’ এমন বক্তব্য অহরহ শোনার পর বাস্তব ক্ষেত্রে তার সাথে মিল পাওয়া যায়নি। বিশেষ করে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সময় দেখা গেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রস্তুতির নামে লেজেগোবরে অবস্থা। অক্সিজেন না পেয়ে, হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ঘোরা করোনা রোগীর স্বজনদের হাহাকার। আর ভ্যাকসিনেশনের কথা না হয় বাদই দিলাম!

বিজ্ঞাপন

আমরা মনে করি, শুধু কথার কথা না বলে আগামীর মহামারির জন্য সার্বিক প্রস্তুতি নিতে হবে। সেখানে শুধু মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নয়, জীবিকার পাশাপাশি মৌলিক চাহিদাগুলোও নিশ্চিত করতে হবে। তবেই আমরা সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতে পারবো।

 

বিজ্ঞাপন

Nil Joler Kabbo
Bellow Post-Green View