দেশের অধ্বঃস্তন আদালত কক্ষে থাকা লোহার খাঁচা অপসারণে হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী এই রিটটি করেছেন। রিটকারি ১০ আইনজীবী হলেন: জি এম মুজাহিদুর রহমান, মোহাম্মদ নোয়াব আলী, সাদ্দাম হোসেন, আব্দুল্লাহ সাদিক, মিজানুল হক, মুজাহিদুল ইসলাম, মেসবাহ উদ্দিন, মোঃ জোবায়দুল ইসলাম, আজিম উদ্দিন পাটোয়ারী, সাজ্জাদ সারোয়ার।
এই রিটের পক্ষে শুনানি করবেন আইনজীবী শিশির মনির। রিটের বিষয়ে এই আইনজীবী বলেন, রিটকারি ১০ আইনজীবীর এবিষয়ে সংশ্লিষ্টদের বরাবর লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। তবে সে নোটিশের জবাব না পেয়ে রিটটি করা হয়। রিটে বলা হয়, দেশের অধ্বঃস্তন আদালত ও ট্রাইবুনালে লোহার খাঁচা অতীতে ছিল না। কিন্তু বর্তমানে প্রায় শতাধিক আদালতে এই ধরনের খাঁচা বিদ্যমান। এর সিংহভাগ ঢাকায় অবস্থিত। এই ধরনের খাঁচা ব্যবস্থাপনা সংবিধানের ৩১,৩২ ও ৩৫(৫) অনুচ্ছেদের সাথে সাংঘর্ষিক। যেখানে সংবিধানের ৩৫(৫) অনুচ্ছেদে বলা আছে কারও সাথে নিষ্ঠুর-অমানবিক আচরণ করা যাবে না। অযথ এই খাঁচা ব্যবস্থার মাধ্যমে নাগরিকদের সাথে নিষ্ঠুর অমানবিক ও বর্বর আচরণ করা হচ্ছে।’
রিটের পক্ষের আইনজীবী শিশির মনির আরও বলেন, এই রিটে আদালত কক্ষে লোহার খাঁচা স্থাপনের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং ইতোমধ্যে স্থাপিত লোহার খাঁচা অপসারণ করে কাঠের ডক কেন প্রতিস্থাপন করা হবে না? সে মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে। সেই সাথে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামিনে থাকা আসামীদের আদালত কক্ষে লোহার খাঁচায় না ঢুকানোর আদেশ চাওয়া হয়েছে। এছাড়া দেশের আদালত ও ট্রাইবুনাল যে লোহার খাঁচা স্থাপন করা হয়েছে তার একটি তালিকা আদালতে দাখিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।