চট্টগ্রাম থেকে: ৯ ঘণ্টারও বেশি সময় ব্যাটিং করেছেন জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ২২ গজে। সবে ১ রানের জন্য নাগাল পাননি ডাবল সেঞ্চুরির। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ এটি নিয়ে খুব একটা আক্ষেপ প্রকাশ করেননি। চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে ছিলেন হাসিখুশি।
ব্যাট হাতে দীর্ঘ পথ পাড়ির বিরতিতে ফাঁকে ফাঁকে সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমদের সঙ্গে মাঠে আড্ডাও দিতে দেখা গেছে ম্যাথুজকে। শ্রীলঙ্কান তারকার সঙ্গে বাংলাদেশের সিনিয়র ক্রিকেটারদের পরিচয় একযুগেরও বেশি সময় আগে, যুব বিশ্বকাপ থেকে।
২০০৬ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কাকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ম্যাথুজ। সাকিব-তামিমদের অধিনায়ক ছিলেন মুশফিক। সেবার পঞ্চম স্থান নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখিও হয়েছিল দুদল। তারপর তো জাতীয় দলে আসার পর তারা প্রতিপক্ষ হয়ে খেলেছেন অসংখ্য ম্যাচ। ম্যাথুজ যেমন বহুবার বাংলাদেশে এসেছেন, সাকিব-তামিমরাও শ্রীলঙ্কা সফর করেছেন।
বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বলেই সংবাদ সম্মেলনে জানতে চাওয়া হয় কোন ভাষায় কথা হচ্ছিল নিজেদের মধ্যে। মজা করে দেয়া উত্তরে লঙ্কান অলরাউন্ডার বললেন, ‘আমি তাদের অনেককেই ভালোভাবে চিনি। আমরা একসাথে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলেছি। আমরা দীর্ঘদিন ধরে এখানে আসছি। আমি তাদের সঙ্গে বাংলায় কথা বলছিলাম, তারা আমার সঙ্গে সিংহলিজ ভাষায় কথা বলছিল!’ এ কথা বলার পর হেসে ফেলেন ম্যাথুজ।