সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী আহত শিক্ষার্থী নাজমুল হোসাইনকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাতকড়া পরানোর ঘটনায় হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহসিন কবিরসহ ৪ পুলিশ সদস্য।
সোমবার বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে ক্ষমা প্রার্থনা করার পর আদালত তাদেত ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন। এবং তাদের বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ৯ জুলাই দিন ধার্য করেন।
আদালতে পুলিশের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু ও অনাবিল আনন্দ রায়। নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান অনাবিল আনন্দ রায়।
আহত শিক্ষার্থী নাজমুল হোসাইনকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাতকড়া পরানোর ব্যাখ্যা দিতে আশুলিয়ার ওসিকে ৩১ মে তলব করেন হাইকোর্ট। সে ধারাবাহিকতায় হাইকোর্টের তলবের ৩১ মে হাজির হয়ে ওসি মহসিনুল কাদের আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতকে জানান, ঘটনার সময় তিনি দায়িত্বে ছিলেন না। তিনি জানান, ওইদিন মেডিকেল সেন্টারে তখন একজন উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও দুজন কনস্টেবল দায়িত্ব পালন করছিলেন। এরপর আদালত এসআই ও দুই কনস্টেবলসহ ওসিকে ৫ জুন আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন।
গত ২৯ মে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে স্বপ্রণোদিত হয়ে ওসিকে তলবের আদেশ দেন।
গত ২৬ মে শুক্রবার সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীর নিহদের ঘটনায় দুই সতীর্থের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ, নিরাপদ সড়কসহ কয়েকটি দাবিতে পরদিন শনিবার ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। বিকেল পাঁচটার দিকে অবরোধ পালনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এতে এক সাংবাদিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তাসহ পাঁচ জন আহত হয়।