শীতের আগাম সবজির মধ্যে কৃষকের কাছে এখন সবচেয়ে লাভজনক সীম। বিস্তীর্ণ ক্ষেতজুড়ে সীম আবাদ করে বিঘাপ্রতি ৪০ থেকে ৮০ হাজার টাকা লাভ তুলছেন একেকজন কৃষক। গত কয়েক বছরে তাদের আর্থসামাজিক অবস্থা পাল্টে গেলেও তেমন সচেতনতা আসেনি কীটনাশকের আগ্রাসন থেকে বাঁচার ক্ষেত্রে।
মাঠ যেন সীমের সমুদ্র। সবুজের ওপর সাদা আর বেগুনি ফুলের সমারোহ। সীমের রাজত্বে অন্য ফসলের খোঁজ মেলা ভার। খরচের হিসেবে কৃষকের জন্য এর চেয়ে লাভজনক কিছু নেই, অন্তত শীতের আগের এই কয়েকটি দিন।
কৃষকরা বললেন, যদি ভারী বৃষ্টিপাত না হয় তাহলে বিঘাপ্রতি ৬০ থেকে ৮০ হাজার টাকা লাভ আসে।
লাভের এই হিসাবই কয়েক বছরে পাল্টে দিয়েছে এলাকার আর্থসামজিক চিত্র। কেউই পিছিয়ে নেই অর্থ বা যশে।
আগে কেমন ছিলো আর এখন কেমন তা তুলে ধরে এক কৃষক জানালেন আগে যেখানে তার মাত্র দেড় বিঘা জমি ছিলো এখন সীম বিক্রির টাকা দিয়ে ১০ বিঘা জমি কিনেছেন তিনি। কেউ কেউ আবার করেছেন পাকা বাড়ি।
প্রতি বছরই এই এলাকায় বাড়ছে সীমের আবাদ।
মেহেরপুর সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা এ কে এম কামরুজ্জামান বলেন, ‘এখানে দেড়শ বিঘার ওপর সীমের আবাদ হয়েছে। এই এলাকা থেকে প্রতিদিন কয়েকটি ট্রাক ভর্তি সীম চলে যায় বাজারে।’
কিন্তু এই পরিবর্তনের সঙ্গে যুক্ত হয়নি কৃষকের সচেতনতা বরং ছেলে-বুড়ো সবাই অভ্যস্থ হয়ে উঠেছে ঝুঁকিপূর্ণ উপায়ে কীটনাশক প্রয়োগে।
প্রশ্ন হলো এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ ঘটবে কতদিনে?