বিদ্যুৎকেন্দ্র, গ্যাসক্ষেত্র ও কয়লা খনিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ওইসব স্থাপনায় কর্মরত বিদেশী নাগরিকদের বিশেষ নিরাপত্তা দিতে জেলা প্রশাসকদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গুলশান হামলার পর রোববার এই নির্দেশনা দেয়া হয়।
এছাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্র-গ্যাসক্ষেত্রে বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কর্মকর্তা কর্মচারিদের বিশেষ নির্দেশনা মেনে এবং সতর্কভাবে বাংলাদেশে চলাচল করতে নির্দেশ দিয়েছে বলে জানা গেছে।
এবিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস চ্যানেল আইকে বলেন, শুক্রবার রাতেই সকল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রত্যেক কেন্দ্রে কর্মরত বিদেশীদেরকে বিশেষ নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে। সকলকে সর্তক থাকতে বলা হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও গ্যাসক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিদেশী নাগরিক কর্মরত আছেন। গুলশান হামলার পর এসব নাগরিকদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দেওয়ায় সরকারের পক্ষ থেকে বিদেশী নাগরিকদের নিরাপদে রাখার বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
পাবনা জেলার রূপপুরে স্থাপন করা হচ্ছে পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। সেখানে রাশিয়া রোসাটমের একাধিক নাগরিক কমর্রত। পাবনা জেলার জেলা প্রশাসক পাবনাতে অবস্থিত রাশিয়ার নাগরিকদের নিয়ে বৈঠক করেছেন।
পাবনা জেলা প্রশাসক রেখা রাণী বালো চ্যানেল আইকে বলেন, সামগ্রিক আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সজাগ থাকার নির্দেশ পেয়েছি। সে অনুযায়ি আইন শৃংখলা কমিটির বৈঠক করেছি। কর্মরত বিদেশীদের সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। চলমান রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
বর্তমানে দেশের সবচেয়ে বড় গ্যাসক্ষেত্র বিনিয়ানা পরিচালনা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি শেভরণ। শেভরণের দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গুলশান এলাকার ঘটনা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
শেভরণ বাংলাদেশের কোম্পানি এ্যাফেয়ার্স জাহিদুর রহমান চ্যানেল আইকে বলেন, বাংলাদেশে কর্মরত শেভরণের সকলকে সতর্কভাবে চলাচল করতে বলা হয়েছে। গুলশান ঘটনার পর বিবিয়ানাসহ সকল গ্যাস ক্ষেত্রে নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে।
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাতে আমেরিকা, ফ্রান্স, জাপান, চীন, রাশিয়া, ভারত, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক কর্মরত আছেন। এরমধ্যে অন্যতম বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে আমেরিকা, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে চীন ও রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুতে রাশিয়া।
গতবছর অক্টোবরে নিরাপত্তার কথা বলে ইলেক্ট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানির (ইজিসিবি) সিদ্ধিরগঞ্জ ৩৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুত কেন্দ্র থেকে ৩৮ জন, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) বিবিয়ানা-৪৫০ মেগাওয়াটের এক নম্বর ইউনিট থেকে দু’জন এবং নর্থ ওয়েষ্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির খুলনা-১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত একজন বিদেশী নাগরিক বাংলাদেশ থেকে চলে গিয়েছিলেন।