বাংলাদেশ টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিল। শ্রীলঙ্কাও তাই। বাংলাদেশ ৮ উইকেটে জিতেছিল। শ্রীলঙ্কার মনে-মনেও নিশ্চয়ই তেমন কিছু ছিল। সব লাল পাথর যেমন চুনি হতে পারে না, তেমনি লঙ্কানদের ওই মনছবিও ‘আসল’ ছবিতে পরিণত হয়নি। সেটি ডুবেছে মিরপুরের শীতরাজ্যে, ১২ রানের হারে। তাও ১১ বল হাতে রেখে।
বাংলাদেশের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার পার্থক্য দৃশ্যমান হতে থাকে ম্যাচের শুরু থেকে। সাকিবরা যেখানে প্রথম ওভারে সাফল্য পেয়েছিলেন, লঙ্কান বোলাররা সেখানে ২৯০ দিয়ে ফেলেন। ঘরের মাঠে এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে গত জুলাইতেও তারা ওয়ানডে সিরিজ হেরেছিল। এই ম্যাচের পরতে পরতে ভাসছিল সেই ছবি। সমশক্তির লড়াই।
এ তো গেল মাঠের পার্থক্য, মাঠের বাইরেও শ্রীলঙ্কার থেকে ব্যতিক্রম বাংলাদেশ। সেটা দল নির্বাচনে। জিম্বাবুয়ের ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের জন্য হাথুরুসিংহে একজনও বাঁহাতি অফস্পিনার রাখেননি। বাংলাদেশ সেখানে দুজন বাঁহাতি স্পিনার খেলায়।
লঙ্কানদের সর্বোচ্চ স্কোরার কুশল পেরেরা। ৮৩ বলে ৮০ করেন। চার হাঁকান আটটি, ছয় দুটি। সলোমন মায়ার এবং ক্রেমারের হাত বেঈমানি না করলে অর্ধশতকের পরপরই ফিরতে হতো এই ব্যাটসম্যানকে।
শুরুতে দুই উইকেট হারানোর পর কুশলই শ্রীলঙ্কাকে ম্যাচে ফেরান। থারাঙ্গার সঙ্গে ৪৬ আর অধিনায়ক ম্যাথুজের সঙ্গে ৮৬ রানের জুটি গড়েন।
ম্যাথুজ ৬৪ বলে ৪২ করেন। এক চার, এক ছয়ে এই রান করেন তিনি। এরপর ফেরেন চান্দিমাল (৩৪)।
ওই জায়গা থেকে হাল ধরেন আরেক পেরেরা। থিসারা পেরেরা। গুনারত্নে এবং ভানিডুকে নিয়ে যথাক্রমে ১৩ এবং ৩০ রানের দুটি জুটি গড়েন। এরপর ধনঞ্জয়ার সঙ্গে আরেকটি, ৩৭ রানের। ধনঞ্জয় ফেরেন ১৯ বলে ৮ রান করে। চাতারার বলে বড় শট খেলতে যেয়ে কাভারে ধরা পড়েন।
তিনি ৮.১ ওভার বল করে ৩৩ রানে চার উইকেট নেন। দুটি করে নেন জার্ভিস এবং ক্রেমার।
লঙ্কানদের শেষ আশা হয়ে ছিলেন থিসারা। তাকেও ফেরান ওই চাতারা। সিকান্দার রাজার হাতে মিডউইকেটে ধরা পড়েন। ৩৭ বলে ৬৪ রানের আফসোসের একটি ইনিংস খেলে যান। যে আফসোসের আগুনে পুড়ে যাওয়ার কথা ‘দৃঢ়চেতা’ ওই হাথুরুসিংহেরও। শত হলেও এটি তার ক্যারিয়ারের বহুল আলোচিত বাংলাদেশের মাঠ!
এই ম্যাচের পর বিসিবির বর্তমান সহকারী কোচ হ্যালসল আরেকবার বলতেই পারেন, মাঠে কোচ খেলে দেয় না।
দেয় কি?