বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামছে, রাজধানীর মনোরম জলাধার হাতিরঝিলের এমফি থিয়েটারে আসন দর্শকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের আতশবাজি উৎসব দেখতে এতো দর্শক।
সরকারি আয়োজনে দেশব্যাপী এই উৎসবের অংশ হিসেবে রাজধানীর আয়োজনস্থল নির্ধারণ হয় হাতিরঝিল এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।
ঢাকাসহ দেশের সব জেলায় আতশবাজি, সংগীতানুষ্ঠানের এই আয়োজন করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবং বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিসিএসসিএল)।হাতিরঝিলে এই উৎসবের সূচনা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রযুক্তিতে জোর দেয়া বাংলাদেশের বৈশ্বিক পরিচিতির নতুন মাইলফলক জানিয়ে তিনি বলেন: আমাদের চেয়ে ২৩ বছর আগে স্বাধীন হওয়া প্রতিবেশী দু’টি দেশ থেকে ডিজিটাল ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের নিয়ন্ত্রণ করা নিয়ে শঙ্কা নেই। কারণ বাংলাদেশের গ্রাউন্ডস্টেশন থেকে স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রণের জন্য ফরাসি তিন প্রশিক্ষকের পূর্ণ আস্থা আছে আমাদের তরুণদের প্রতি। তারাই জানিয়েছে তাদের কাছে প্রশিক্ষণের সামান্য সময়েই যথেষ্ট দক্ষতা অর্জন করেছে আমাদের তরুণরা। ‘থাকবো নাকো বদ্ধ ঘরে, দেখবো এবার জগতটাকে’ কাজী নজরুল ইসলামের এই কবিতা দিয়েই বক্তব্য শুরু করেন অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন: ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেতবুনিয়ায় স্যাটেলাইটের প্রথম আর্থ স্টেশন উদ্বোধনের মাধ্যমে যে যাত্রা সূচনা করে গিয়েছিলেন, আজ সেই যাত্রা মহাকাশ পর্যন্ত নিয়ে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।বক্তব্য পর্ব শেষে শুরু হয় সংগীত পরিবেশনা একই সঙ্গে আলো-রঙের বাহার দেখাতে শুরু করে হাতিরঝিলের অত্যাধুনিক ফোয়ারা।
এরপরই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের উৎসবের মূল আয়োজন আতশবাজি শুরু হয়। নানা রঙের, আকৃতির বারুদে ফুলে ছেয়ে যায় হাতিরঝিলের আকাশ। দর্শকরা হাতে তালি দিয়ে, শিষ বাজিয়ে উৎসবে মাতেন। সবার হাতের স্মার্টফোনে ফ্রেমবন্দি করা শুরু করেন বর্ণিল এই আয়োজন।