বান্দরবানে নির্মাণাধীন ‘রিসোর্ট সিলভান ওয়াই অ্যান্ড স্পা’তে কোটি টাকা বিনিয়োগ করছেন আলোচিত যুবলীগ নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম। ৫০ একরের ওই রিসোর্টটি তৈরিতে স্থানীয় নৃ-গোষ্ঠীর বাসিন্দাদের জমি দখল করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ২শ’ কোটি টাকা বিনিয়োগের লক্ষ্য নিয়ে বান্দরবান শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে চিম্বুক সড়কের পাশে প্রায় ৫০ একর এলাকা জুড়ে বিলাসবহুল এই রিসোর্ট তৈরি করা হচ্ছে। রিসোর্টটির মালিকানায় যে ৯ জনের শেয়ার রয়েছে তার মধ্যে জি কে শামীম একজন। প্রথম পর্যায়ে ১০ কোটি টাকার বিনিয়োগ দিয়ে রিসোর্টটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। রিসোর্টটিতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি পুলিশ ক্যাম্পও করে দেয়া হচ্ছে।
শহরের কাছে জেলা প্রশাসন পরিচালিত পর্যটন কেন্দ্র নীলাচলের পাশেই প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশে সিলভান ওয়াই রিসোর্ট নির্মিত হচ্ছে। তবে মারমা, ত্রিপুরা স্থানীয় নৃ-গোষ্ঠীর অনেকে তাদের জায়গা-জমি দখলের অভিযোগ তুলেছেন রিসোর্ট মালিকদের বিরুদ্ধে। জেলা প্রশাসন পাহাড়ি সম্প্রদায়ের অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখছে বলে জানা গেছে।
গত শুক্রবার রাজধানীর নিকেতনের নিজ কার্যালয় থেকে যুবলীগের কন্দ্রেীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক জি কে শামীমকে র্যাব অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়।
এসময় বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ, এফডিআর, মদ, অস্ত্র দেহরক্ষীসহ জি কে শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়। যুবলীগের সমবায় সম্পাদক হিসেবে পরিচয়দানকারী জি কে শামীমের পুরো নাম এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম।
নারায়ণগঞ্জ শাখা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির বিরুদ্ধে জায়গা দখলের অভিযোগের বিষয়ে বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শফিউল আলম বলেন: জেলা প্রশাসক দেশের বাইরে আছেন। তদন্ত কমিটি গঠন করে উনি আসলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।