ছোট ক্যারিয়ারে আন্তর্জাতিক অনেক গোলই আছে আনুচিং মগিনির। আছে একাধিক জোড়া গোলের কীর্তিও। সেসব জোড়া গোলের একটিও অতীতে হ্যাটট্রিকে রূপান্তর হয়নি। অবশেষে আক্ষেপ কেটেছে মগিনি বোনদ্বয়ের ছোটজনের। সেটিও আবার সারাজীবন মনে রাখার মতো অনিন্দ্যসুন্দর বাইসাইকেল এক কিকে!
এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের কিশোরী ফুটবলাররা। শুক্রবারের সাত গোলের তিনটিই আনুচিংয়ের। তবে প্রথম হ্যাটট্রিক ছাপিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বারবার ফিরে এলো তার তৃতীয় গোলের কথা, সেই বাইসাইকেল কিকের কাহিনী।
মাত্র ১০ মিনিটের এক ঝড়ে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেছে আনুচিং। ২৬ ও ৩৫ মিনিটে জোড়া গোল পাওয়ার পরের মিনিটেই আসে সেই কাঙ্ক্ষিত গোল।
প্রায় মাঝমাঠ থেকে বল পায়ে ছুটে এগোয় আনুচিংয়ের বড় বোন আনাই। মাঝখানে রোজিনা আক্তারের সঙ্গে বল দেয়া নেয়া করে আবারও আনাইয়ের পায়ে যায় বল। গতির টানে ডি-বক্সের ঢোকার মুখেই ছোট বোনের দিকে তখন বল বাড়িয়ে দেয়ার ক্ষণ।
তবে ছোট বোন সরাসরি বল পায়নি। প্রতিপক্ষ এক খেলোয়াড়ের হেডে বল ভাসে আকাশে। মাটিতে পড়ার আগেই উল্টো হয়ে ঘুরে বাতাসে গা ভাসিয়ে সেই বলে শট নেয় আনুচিং। প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক কিছু বুঝে ওঠার সুযোগই পায়নি। বল জড়িয়ে যায় জালে। দৃষ্টিনন্দন এক গোল! তাতে ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিকও।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গত মৌসুমে জুভেন্টাসের বিপক্ষে এমনই এক গোল করে উয়েফা বর্ষসেরা গোলের পুরস্কার জিতেছেন তখন রিয়াল মাদ্রিদে খেলা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সেই আসরের ফাইনালে একই ভঙ্গিমায় গোল পেয়েছিলেন রোনালদোর মাদ্রিদের সাবেক সতীর্থ গ্যারেথ বেলও। দুই গোল নিয়ে হইচই থামতে না থামতেই আনুচিংয়ের গোলটি নিয়ে আড্ডায় মাতার প্রসঙ্গ পেয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীরা।
ভক্তরা আলোচনা করবেন কিনা সেটি আপাতত অজানা আনুচিংয়ের। তবে এমন গোল পেয়ে নিজের খুশির কথা জানাতে ভোলেননি তিনি। বোনের সঙ্গে নিজের বোঝাপড়ায় বেশ সন্তুষ্ট রাঙ্গামাটির এ কৃতিকন্যা, ‘আমার খুব খুশি লাগছে। আমিও গোল পেয়েছি। দিদিও(আনাই, ম্যাচে একটি গোল ছিল তারও) গোল পেয়েছে। তাই আমরা খুব খুশি। সামনে আরও ম্যাচ আছে। দোয়া করবেন আমরা যেন আরও ভালো করতে পারি।’