নেপালের নির্বাচনে সাবেক মাওবাদী বিদ্রোহী এবং মধ্যপন্থি কমিউনিস্টদের মিলিত বামপন্থি জোট বিজয়ের দিকে এগোচ্ছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের সংসদীয় এবং প্রাদেশিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে প্রাথমিক ভোটগণনার শুরু হওয়া ৮০ নির্বাচনী এলাকার ৬৩টিতেই এগিয়ে থাকতে দেখা যায় বামপন্থি এই জোটকে।
গৃহযুদ্ধের সমাপ্তির পর নেপালের রাজতন্ত্র অবলুপ্ত হয়ে শাসনতন্ত্র গণতন্ত্রের দিকে এগিয়ে নেয়ার পদ্ধতি হিসেবে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো।
গত দশ বছরে নেপালে সরকারও এসেছে দশটি। রাজনৈতিক অস্থিরতায় বেড়েছে দুর্নীতি, যার ফলে প্রবৃদ্ধি কমে গেছে। একই সঙ্গে এই অস্থিতিশীলতার কারণে ২০১৫ সালের ভয়াবহ ভূমিকম্পের ধাক্কা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি দেশটি। ওই ভূমিকম্পে ৯ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। এছাড়া ব্যাপক অবকাঠামোগত ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল নেপাল।
এবারের নির্বাচনে ভরাডুবিই হচ্ছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবার মধ্যপন্থি দল নেপালি কংগ্রেস পার্টির। দলটির সঙ্গে সাবেক রাজতান্ত্রিক ভাবধারার কয়েকটি দলসহ আরও কিছু দলের ঢিলেঢালা জোট রয়েছে, যা সাবেক মাওবাদী এবং মধ্যপন্থি কমিউনিস্টদের ইউএমএল পার্টির শক্ত জোটের সামনে টিকে থাকতে হিমশিম খাচ্ছে।
নেপালি কংগ্রেস পার্টিকে মূলত ভারতপন্থি রাজনৈতিক দল হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। অন্যদিকে বিরোধী বামপন্থি জোটটিকে দেখা হচ্ছে চীনপন্থি হিসেবে।
ভারত এবং চীনের মধ্যে নেপাল অনেকটা বাফার জোন বা লড়াইয়ে বাধা হিসেবে কাজ করে প্রাকৃতিকভাবেই। তাই নেপালের পরবর্তী সরকার কোন দেশের প্রতি অনুরাগী তার ওপর নির্ভর করে পানিবিদ্যুতে সমৃদ্ধ হিমালয়কন্যা নেপালের কাছ থেকে কোন দেশ বেশি সুবিধা নিতে পারবে।