শাস্তি দেয়ার ব্যাপারে অভিনব সিদ্ধান্তের ধারা বজায় রেখেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল, আইসিসি। রকেট বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের অপরাধে জরিমানা গুনছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুতর্জা ও অলরাউন্ডার সাব্বির রহমান। কিন্তু ইংল্যান্ডের ওয়ানডে অধিনায়ক জস বাটলারকে শুধু তিরস্কার করা হয়েছে।
ঘটনার শুরু ইংলিশ ইনিংসের ২৮তম ওভারে। পেসার তাসকিনের প্রথম বলে লেগবিফোর আউট হন জস বাটলার। ৫৭ রানে আউট হওয়া বাটলার প্যাভিলিয়নে ফেরার পথে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। আম্পায়ারের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। ইংলিশ অধিনায়ক অবশ্য জানিয়েছিলেন, টাইগারদের উৎসব উদযাপন তার পছন্দ হয়নি।
ম্যাচ শেষে আবারো দুই দলের খেলোয়াড়রা বিরোধে জড়ান। ইংলিশ ওয়ানডে ক্যাপ্টেন নাকি বিজয়ী বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলাতে চাননি।
২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে ম্যাচ রেফারি জাভাগাল শ্রীনাথ অনফিল্ড আম্পায়ার আলীম দার ও শরফুদৌল্লা ইবনে সৈকতের বক্তব্য শুনে অভিযুক্ত খেলোয়াড়দের বিপক্ষে শাস্তি ঘোষণা করেন। আচরণবিধির আর্টিক্যাল দুইয়ের ১ দশমিক সাত ধারা লংঘন করায় মাশরাফি ও সাব্বির রহমানকে ম্যাচ ফি’র কুড়ি শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে অশালীন ভাষা প্রয়োগ ও আক্রমণাত্মক আচরণের। ম্যাচ রেফারির অভিযোগ সাফল্য উদযাপনের জন্য বাংলাদেশী ক্রিকেটাররা বাড়াবাড়ি করেছেন যা বাটলারকে অনাকাংখিত আচরণে প্রলুদ্ধ করেছে।
ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলারকে আচরণবিধির দুইয়ের এক দশমিক চার ধারা লংঘন করার অপরাধে অপরাধী ঘোষণা করা হয়েছে। তবে তার জন্য শাস্তি নাম কা ওয়াস্তে, স্রেফ তিরস্কার। অভিযুক্ত তিন ক্রিকেটারেরই অবশ্য র্যাংকিং পয়েন্ট থেকে এক পয়েন্ট কাটা যাবে।
ঘটনার সূচনা বাটলারের অসংযত আচরণে, এরপর জড়িয়ে পড়েন মাশরাফি, সাব্বিরসহ অন্যরা। কিন্তু, ভক্তদের মতে, আইসিসি’র তিন মোড়ল তোষণের অলিখিত প্রথায় শাস্তি পেলেন দুই বাংলাদেশী ক্রিকেটার মাশরাফি ও সাব্বির।