সেই যে জাভি চলে গেলেন, এরপর থেকে মাঝমাঠে ফুল ফোঁটাও যেন বন্ধ হয়ে গেছে বার্সেলোনার। ২০১৫ সালে কাতারে পাড়ি জমানোর পর থেকে এই কারিগরের শূন্যস্থান পূরণে চারজন মিডফিল্ডার কিনেছে বার্সা। কিন্তু ফলাফল সেই ‘লবডঙ্কা’। জাভির অভাব মেটাতে এবার আফ্রিকায় নজর দিয়েছে ক্লাবটি। আফ্রিকান জাভি বলে পরিচিত জন মিচেল সিরিকে দলে টানার কাজ শুরু করেছেন ন্যু ক্যাম্পের কর্তারা।
সেন্টার মিডফিল্ড পজিশনে সৃষ্টিশীলতার কারণে মিচেল সিরির নামই হয়ে গেছে আফ্রিকান জাভি। খেলেন ফরাসী লিগের দল নিসেতে। দলবদলের মৌসুমের শুরু থেকেই সিরি এবং পিএসজি মিডফিল্ডার মার্কো ভেরাত্তির দিকে পাখির চোখ করেছিল বার্সা। কিন্তু ভেরাত্তিকে চাওয়ার ফলাফলটা হয়েছে করুণ। এই ইটালিয়ান মিডফিল্ডারকে পাওয়ার বদলে নেইমারকে পিএসজির কাছে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়েছে বার্সা।
সিরিকে পেতে তেমন কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয় বার্সার। হারাতে হবে না কাউকে। দামটাও সাধ্যের মধ্যে। আইভোরিয়ান মিডফিল্ডারকে ধরে রাখতে যে ৪০ মিলিয়ন বাইআউট ক্লজের কথা বলছিল নিসে, সেই দামেই তাকে কিনতে রাজি আছে বার্সা। সব ঠিক থাকলে আগামী সপ্তায় নিসের সঙ্গে চুক্তিতে বসতে যাচ্ছেন বার্সেলোনা কর্তারা।
নিসের দিক থেকে সমস্যা না আসলেও, অন্য আরেক দিক থেকে অবশ্য ভয়াবহ এক ঝুঁকির মুখে আছে বার্সা। যদি ৪০ মিলিয়ন ইউরোতে সিরিকে পায় কাতালানরা, তাহলে এই মৌসুমে তাদের খরচের পাল্লা গিয়ে দাঁড়াবে ১২৪ মিলিয়ন ইউরোতে। নেইমারকে বিক্রি করে ২২২ মিলিয়ন ইউরোর মাত্র ৯৮ মিলিয়ন ইউরো অবশিষ্ট থাকবে বার্সার ব্যাঙ্কে।
আর যদি কৌতিনহো এবং ডেম্বেলেকে কিনতেও চায় বার্সা সেক্ষেত্রে এই মৌসুমে তাদের খরচটা গিয়ে দাঁড়াতে পারে ৪০০ মিলিয়ন ইউরোতে। আর এত খরচ হলে বার্সার দিকে ধেয়ে আসতে পারে আর্থিক ফেয়ার প্লে নিষেধাজ্ঞাও। তবে, বার্সেলোনা মরিয়া। যেকোনও মূল্যে জাভির বিকল্প যে তাদের চাই!