চাঞ্চল্যকর মামলার তদন্তে কাজ শুরু করেছে বিশেষ তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন, পিবিআই। মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআইএর আদলে তৈরি এ সংস্থাটি বর্তমানে চাঞ্চল্যকর প্রায় ৮শ’ মামলা তদন্ত করছে। বেশ কিছু তদন্তে পিবিআই বিশেষ পারদর্শিতাও দেখিয়েছে।
কোনো অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পর অনেক ভুক্তভোগীকে নতুন করে ভুগতে হয় তদন্তের সময়। প্রভাব খাটিয়ে ভুল তদন্তেরও অভিযোগ রয়েছে। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় চাঞ্চল্যকর মামলাগুলোর সুষ্ঠু তদন্তে এফবিআই’র আদলে পিবিআই গঠন করা হয়।
নরসিংদীর একটি চাঞ্চল্যকর মামলায় সফল তদন্ত করে চলতি বছরের জুনে আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত কাজ শুরু করে পিবিআই।
তদন্তের ক্ষেত্রে বিশেষ প্রযুক্তিনির্ভর সরঞ্জাম ব্যবহার এবং প্রযুক্তির প্রায়োগিক দিকগুলোকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানান পিবিআই’র লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইংয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান।
বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে অপরাধের বিচার ব্যবস্থায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা হিসেবে পিবিআই আইনের শাসন ও ন্যয়বিচার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
তদন্তের জন্য বিশেষভাবে গড়ে ওঠা এ সংস্থাটির মোট লোকবল ৯শ’ ৭০ জন। প্রাথমিকভাবে দেশের ২০ জেলায় একজন করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে ১২ জন করে জনবল নিয়ে কাজ করছে পিবিআই।
তদন্তের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি পয়েন্টের দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে সংস্থাটি। খুন, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, অপহরণ, মাদক, সাইবার অপরাধ, পাচার, জঙ্গি তৎপরতার মত জটিল অপরাধগুলোর তদন্তে কাজ করছে তারা।
পিবিআই’র মহাপরিদর্শক ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান, পিপিএম বলেন, আদালত বা পুলিশ সদর দপ্তর থেকে দেওয়া সব মামলাই পিবিআই তদন্ত করবে। তবে প্রধানত তারা গুরুত্ব দেবেন খুন, সূত্রবিহীন খুন, ডাকাতি, ডাকাতির সঙ্গে হত্যা, অস্ত্র মামলা, সাইবার অপরাধ, মাদকের মতো জটিল ধরনের মামলাগুলোকে।
তিনি জানান, এমন বেশকিছু যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম সংস্থাটি কিনেছে, যা অনেকের কাছেই নেই।
এখন পর্যন্ত ২শ’র বেশি মামলার তদন্ত শেষ করেছে পিবিআই। তদন্ত করছে আরো ৫শ’র বেশি মামলার।