টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট মানেই চার-ছক্কার প্রদর্শনী। যার ছিটেফোঁটাও দেখা গেল না বিপিএলের ষষ্ঠ আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে। মিরপুরে রংপুর রাইডার্সের দেয়া ৯৯ রানে লক্ষ্য টপকাতে চট্টগ্রাম ভাইকিংসের লেগেছে ১৯.১ ওভার, হারাতে হয়েছে ৭ উইকেট।
শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের উইকেট যে ব্যাটসম্যানদের পক্ষে ছিল না, সেটি স্কোরকার্ডেই প্রকাশ পাচ্ছে। মন্থর উইকেটে ধুঁকতে হয়েছে দুই দলের ব্যাটসম্যানদেরই। হারের পর তাই হতাশাই ঝরল রংপুরের ইংলিশ ক্রিকেটার রবি বোপারার কণ্ঠে।
ম্যাচ সর্বোচ্চ ৪৪ রানের ইনিংস খেলা রংপুরের এ অলরাউন্ডার বলে গেলেন, ‘যে ধরণের উইকেট ছিল তাতে আরকিছু রান করতে পারলে ম্যাচটা আমাদের পক্ষে যেতে পারত। এখানে ১৩০ রানই লড়াকু পুঁজি। সহজাত ব্যাটিং করার মতো উইকেট এটি ছিল না। মিরপুরের উইকেট অননুমেয়। আমরা জানি সিলেট ও চট্টগ্রামে এমনটা হবে না। সেখানে ১৭০ থেকে ২০০ রান তোলাও সম্ভব। মিরপুরে যদি ১৫০ রান তোলা যায়, সেটি সবসময় প্রতিপক্ষের জন্য কঠিন।’
শনিবার সকালে ক্রিস গেইল ঢাকায় পা রাখলেও প্রথম ম্যাচে নামেননি। রোববার সন্ধ্যার ম্যাচে খুলনা টাইটানসের বিপক্ষে নামবেন বলে জানালেন বোপারা। আরেক বিধ্বংসী ক্রিকেটার এবি ডি ভিলিয়ার্স যোগ দেবেন আরও ৫ ম্যাচ পর। তারা যোগ হলে দলের শক্তি অনেক বাড়বে বলেই মনে করেন বোপারা।
‘দুজনই ওয়ার্ল্ডক্লাস ব্যাটসম্যান, প্রতিপক্ষের মাঝে ভীতি সঞ্চারের জন্য যথেষ্ট। ভিলিয়ার্স ছয় ম্যাচ হওয়ার পর আসবে। বিপিএলের পরের দুই পর্ব সিলেট ও চট্টগ্রামে। এটা আমাদের জন্য ভালো সংবাদ। কেননা ভিলিয়ার্স এসে সেরা উইকেটই পাবে। এখানকার (মিরপুরে) উইকেটে কী ঘটবে সেটি একমাত্র ঈশ্বরই জানেন! ভিলিয়ার্স যদি চট্টগ্রামে সেট হতে পারে, বোলারদের প্রার্থনা করা ছাড়া উপায় থাকবে না।’
এদিন ৪ উইকেট নিয়ে শুরুতেই রংপুরের ব্যাটিংলাইন ধসিয়ে দেন রবি ফ্রেইলিঙ্ক। চট্টগ্রামের হয়ে প্রথমবার বিপিএল খেলতে আসা এ অলরাউন্ডারও মনে করেন হাতখুলে খেলার মতো উইকেট ছিল না, ‘আমরা শেষ ওভারে গিয়ে ম্যাচ জিতেছি। তাতে মোটেও হতাশ নই। উইকেটে ব্যাটিং করা কঠিন ছিল। তাছাড়া আগে জিতে গেলে বোনাস পয়েন্ট পেতাম, ব্যাপারটা এমন নয়।’