বিশ্বজুড়ে বাঙালি দর্শকের কাছে বাংলাদেশের বিনোদনমূলক কন্টেন্ট পৌঁছে দেয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৯ সালের ৩ জুলাই ঢাকঢোল পিটিয়ে যাত্রা শুরু করে ভারতীয় জনপ্রিয় স্ট্রিমিং প্লাটফর্ম ‘জি-ফাইভ’। সাড়ে তিন বছরের কার্যক্রম চালানোর পরও কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পায়নি এই ওটিটি প্লাটফর্মটি।
অবশেষে ব্যর্থতার গ্লানি নিয়ে বাংলাদেশকে বিদায় বলছে ‘জি-ফাইভ’। ৪ জানুয়ারি সাবস্ক্রাইবারদের কাছে পাঠানো একটি ইমেইল বার্তায় এমনটাই জানিয়েছে জি-ফাইভ কর্তৃপক্ষ। তারা জানায়, আগামী ১৫ জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশে ‘জি-ফাইভ’-এর আর কোনো কনটেন্ট দেখার সুযোগ থাকছে না।
জি-ফাইভ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, বাংলাদেশে আর ‘জি-ফাইভ গ্লোবাল’ স্ট্রিমিং সার্ভিস থাকছে না। তারা বলেছেন, আমাদের উদ্যোগে নির্মিত গল্পগুলো দিয়ে আপনাদের বিনোদিত করতে পেরে আমরা আনন্দিত।
অনেক গ্রাহক আগেই বছর বা মাসব্যাপী সাবস্ক্রাইব করে রেখেছেন। যদি ১৫ জানুয়ারি থেকে সেবা বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে যারা অগ্রিম সাবস্ক্রিপশন কিনে রেখেছেন তাদের কী হবে? এই সমস্যার সমাধানও করছে জি-ফাইভ। সাবস্ক্রিপশন অনুযায়ী যার যার দেওয়া অতিরিক্ত অর্থ রিফান্ড করা হবে বলেও জানানো হয় ওই ইমেইল বার্তায়।
যাত্রা শুরুর পর মুঠোফোন সেবাদানকারি প্রতিষ্ঠান রবি ও এয়ারটেলের সঙ্গে অংশীদারিত্বে কাজ করছিল ‘জি-ফাইভ গ্লোবাল’। পরে বাংলাদেশে ‘জি-ফাইভ’-এর কনটেন্ট নির্মাণ ও দেখভালের কাজ করতো ‘গুড কোম্পানি’।
সেখানকার এক কর্তা জানান, বাংলাদেশে হয়তো ‘জি ফাইভ’ প্রত্যাশা অনুযায়ী সাফল্য পায়নি। এজন্য ব্যবসায়িক পলিসিতে ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছে।
বাংলাদেশে যাত্রা শুরুর পর থেকে ‘জি-ফাইভ’-এ ভারতীয় কনটেন্ট-এর আধিক্য ছিল। দর্শকদের অভিযোগ ছিল, ইউটিউবে ফ্রি-তে দেখতে পাওয়া নাটকের সমমনা বাংলাদেশের দু-চারটি কনটেন্ট এতে দেখা যেত; তবে সেগুলোও ছিল নামকাওয়াস্তে!
বাংলাদেশের ছোটপর্দায় শিল্পীদের সিরিজ নাটকের পাশাপাশি ‘মাইনকার চিপায়’, ‘কনট্রাক্ট’, ‘যদি কিন্তু তবুও’, ‘ঠাণ্ডা’, ‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টলম্যান’ এই ওয়েব কনটেন্টগুলো নির্মাণ করে কিছুটা সাড়া ফেললেও সার্বিকভাবে ব্যর্থ হয় জি-ফাইভ।