কক্সবাজারে এনজিওতে চাকরির আড়ালে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের অস্ত্র সরবরাহকারী মো. আরিফ উল্লাহ (২৫) নামের এক যুবককে বন্দুকসহ আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর দুপুরে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
আরিফ মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের পানিরছড়া এলাকার আবুল কালামের ছেলে। তিনি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কর্মী হিসেবে উখিয়ার কুতুপালং ২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত।
পুলিশ জানায়, উদ্ধার করা অস্ত্র দু’টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সন্ত্রাসীদের কাছে বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন আরিফ। এরআগেও তিনি বেশ কয়েকটি অস্ত্রের চালান রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্টির কাছে হস্তান্তর করেন বলে জানা যায়।

মিজানুর রহমান বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদী সংলগ্ন ৬ নম্বর জেটি ঘাট এলাকায় মহেশখালী থেকে নিয়ে আসা অস্ত্রের একটি চালান নিয়ে কতিপয় লোকজন অবস্থান করছে খবরে পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। এতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ সদস্যরা কাঁধে ব্যাগ বহনকারী সন্দেহজনক আরিফকে দেখতে পেয়ে ঘিরে ফেলেন।
এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। পরে তাকে ধাওয়া দিয়ে পুলিশ আটক করতে সক্ষম হয়। এসময় তার সাথে থাকা ব্যাগ তল্লাশী করে দেশিয় তৈরী দু’টি বন্দুক পাওয়া যায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক যুবকের কাছ থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। তিনি বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকে চাকরির আড়ালে ক্যাম্পের রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্টির কাছে অস্ত্রের চালান যোগান দিয়ে আসছিলেন। এর আগেও তিনি রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের কাছে বেশ কয়েকটি অস্ত্রের চালান সরবরাহ করেন।
বিজ্ঞাপন
মহেশখালীর দুর্গম পাহাড়ী এলাকায় স্থাপিত কারখানায় তৈরী এসব অস্ত্র সংগ্রহ করে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের কাছে বিক্রির জন্য ক্যাম্পে নিয়ে যাচ্ছিলেন আরিফ। তিনি জানান, গ্রেপ্তার যুবকের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন