মোটরবাইকে চড়ে দেশের ৬৪টি জেলা ভ্রমণের কৃতিত্ব দেখিয়েছেন তরুণ বাইকার মো. মফিদুল ইসলাম উজ্জ্বল। পেশায় ব্যাংকার উজ্জ্বল এই কৃতিত্ব অর্জন করতে গিয়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া ৭ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি বাইক চালিয়েছেন। ঘুরেছেন আমাদের ইতিহাস- ঐতিহ্যখ্যাত বিভিন্ন স্থানে।
এই তরুণের বাড়ি মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার পূর্ব শ্রীকোল গ্রামে। পেশাগত কারণে থাকেন রাজধানী ঢাকাতে।
মফিদুল ইসলাম উজ্জ্বল ঢাকাতে রূপালী ব্যাংকে সিনিয়র অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন। সুযোগ পেলেই বেরিয়ে পড়েন প্রিয় এফজেডএফ ইয়ামাহা বাইক নিয়ে।
উজ্জ্বল জানান, কিশোর বেলা থেকেই তিনি বাইক চালান। সঠিকভাবে বাইক চালানোর কৌশল, নিয়মকানুন তাঁর জানা। ট্রাফিক ল মেনে তিনি বাইক চালান বাইক চালানোর সময় সমস্ত ধরনের প্রটোকল মানেন এবং প্রোটেকশন নেন। বাইক চালাতে চালাতেই একসময় তাঁর মাথায় এলো ৬৪টি জেলা স্পর্শ করবেন বাইকে চড়ে। সেই পরিকল্পনা মোতাবেক গত বছরের এপ্রিলে তিনি মুন্সীগঞ্জ জেলা সদর থেকে বাইক নিয়ে অনুষ্ঠানিকভাবে বেরিয়ে পড়েন। এরপর একেক করে ছোট বড় সব জেলা স্পর্শ করেন। সবশেষে তিনি সিরাজগঞ্জ জেলা স্পর্শ করেছেন বাইকে চড়ে।
বাইকে ৬৪টি জেলাতে যাওয়ার স্মৃতি কীভাবে ধরে রেখেছেন, জানতে চাইলে উজ্জ্বল জানান, তিনি যে জেলাতে গিয়েছেন সেখানেই স্মারক হিসেবে জেলা সার্কিট হাউজের সামনে গিয়ে ছবি তুলেছেন। নিজস্ব ফেসবুক পেজে তিনি এসব ছবি নিয়মিত শেয়ার করেছেন এবং তার কাছে এসব ছবি সংরক্ষিত আছে।
দেশের পর এবার উজ্জ্বলের পরিকল্পনা প্রতিবেশী দেশ ভারতে বাইকে চড়ে ভ্রমণ করা। সব ধরনের প্রস্তুতিও তিনি শেষ করেছেন। এখন ট্রাভেল ভিসা পেলেই ভ্রমণ পিয়াসী এই তরুণ ছুটে চলবেন প্রতিবেশী দেশে। তার ইচ্ছে প্রথমে পশ্চিমবাংলার বিভিন্ন স্থানে যাওয়া। এরপর অন্য প্রদেশে ঘুরে বেড়ানো। উজ্জ্বল জানান ভারতের পর তার ইচ্ছা রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার নতুন অন্য একটি দেশে বাইক নিয়ে ভ্রমণ করা।
উজ্জ্বল দুই সন্তানের জনক। তার স্ত্রী মাসুমা পারভেজ মুন্নীও পেশায় ব্যাংকার।